শিশুদের শেখাতে ব্যস্ত থাকি আমরা। এটা এভাবে, ওটা ওভাবে বলতেই দিন চলে যায় বাবা-মায়েদের। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখা হয়েছে যে শিশুদের থেকেও শেখার আছে অনেক কিছু?
শিশুদের মতো করে ভাবতে পারলে, চলতে পারলে জীবনটা অনেকটাই সহজ করে ফেলা সম্ভব। জেনে নিন শিশুদের কাছ থেকে কিছু শিক্ষণীয় সম্পর্কে।
কর্ম চঞ্চলতা
শিশুরা সবসময়ে খুব কর্ম চঞ্চল থাকে। সারাক্ষণ এটা ওটা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারে শিশুরা। কাজের যেন কোনো অভাব নেই তাদের। ফলে তারা কখনোই একঘেয়ে বোধ করে না। শিশুর কাছ থেকে কর্ম চঞ্চলতার বিষয়টি শিক্ষণীয়। কারণ, সারাক্ষণই ঘরের এবং বাইরের নানান কাজ নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করলে শরীরটা ঝরঝরে থাকবে। সেই সাথে কখনোই জীবনটাকে একঘেয়ে মনে হওয়া কিংবা বিষণ্ণতায় ভোগার মতো সমস্যায় পড়তে হবে না।
সাহায্য চাওয়া
খুব সহজ কোনো কাজ না পারলেও সাহায্য চায় শিশুরা। এই বিষয়টি শিশুদের থেকে রপ্ত করা জরুরী। বড় হয়ে যাওয়ার পর কারও কাছ থেকে সাহায্য চাইতে ইতস্তত বোধ করে সবাই। কিন্তু না পারলে, সাহায্য চাওয়ার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। বরং সফলভাবে জীবনকে গড়ে তোলার জন্য কাছের মানুষদের কাছে সাহায্য চাওয়া খুবই জরুরী।
সৃজনশীলতা
শিশুরা খুবই সৃজনশীল। ছবি আঁকতে বসলে গাছের পাতায় অনায়াসেই নীল রঙ ঢেলে দিতে পারে তারা। কিংবা কাগজ কেটে তৈরি করে ফেলতে পারে মনের মতো নানান কিছু। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে সৃজনশীলতা হারিয়ে যেতে থাকে। তাই শিশুদের থেকে সৃজনশীলতার চর্চা করার বিষয়টি রপ্ত করা উচিত। নিজেকে সৃষ্টিশীল কাজে নিয়োজিত করলে মনের আনন্দের পাশাপাশি মেধারও চর্চা হবে।
আবেগ প্রকাশ
শিশুরা খুব সাবলীল ভাবে আবেগের বহি প্রকাশ করতে পারে। মন খারাপ হলে কেঁদে মন হালকা করে ফেলে। আবার কাউকে ভালবাসলেও তাকে সাবলীল ভাবে ভালোবাসার প্রকাশ করে ফেলে। মন ভালো থাকলে মন খুলে হাসতে পারে তারা। বড় হওয়ার পর আবেগ লুকানোর অভ্যাস হয়ে যায় মানুষের। তাই শিশুদের কাছ থেকে আবেগ প্রকাশের বিষয়টিও বড়দের জন্য শিক্ষণীয়। ফেমিনা।
ছবি : সংগৃহীত