তিন শতাধিক বিজ্ঞাপন, একগুচ্ছ প্রশংসিত নাটক বানিয়ে নির্মাতা হিসেবে মুনশিয়ানা দেখানো মেজবাউর রহমান সুমন তার নির্দেশিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র শুটিং শুরু করলেন। যেখানে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হয়।
মাসভর সেখানে চলবে এ চলচ্চিত্রের কাজ। বেশিরভাগ শুটিং সেখানে শেষ হবে। বাকি কাজ হবে কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায়।কয়েকদিন আগে ‘হাওয়া’র শুটিং ইউনিট সেখানে পৌঁছালেও আজ (রবিবার) থেকে শুরু হচ্ছে শুটিং।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ইউনিটের প্রত্যেকেই রিহার্সালে অংশ নিয়েছেন। প্রতিকূল পরিবেশে শুটিংয়ে দীক্ষা নিয়েছেন।
মেজবাউর রহমান সুমন তার ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রে প্রসঙ্গে জানান, এটি মাটির গল্প নয় বরং পানির গল্প, সমুদ্রের গল্প।
”সমুদ্র এমন এক বিশালতার নাম যার পাড়ে বসে আমরা সাধারণ মানুষ এর সৌন্দর্য দেখি, রোমান্টিসিজমে ভুগি। এর পাড়ের মানুষগুলোর গল্প জানলেও জানি না সমুদ্রে চলাচলরত মানুষগুলোর ভেতরের গল্প। সেখান থেকে ফেরার গল্প হয়তো জানি, কিন্তু না ফেরার গল্প আমরা ক’টা জানি? এই না জানা মৌলিক গল্পটিই আমি আমার এই সিনেমার মাধ্যমে জানাতে চাই।”
সম্পর্ক, প্রতিশোধ এবং মৃত্যুকে উপজীব্য করে এই গল্প সাজিয়েছেন মেজবাউর রহমান সুমন। এটি মাটির গল্প নয় বরং পানির গল্প। সমুদ্র পাড়ের মানুষ প্রধান উপজীব্য হলেও সমুদ্র পাড়ের গল্প নয় বরং সমুদ্রের গল্প থাকছে এখানে।
নির্মাতা সুমনের ভাষ্য, ‘হাওয়া’র প্রধান উপাদান সমুদ্র, ঢেউ আর একটি ট্রলার।
‘হাওয়া’ চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে বেশী কিছু বলতে চাননি অভিনেতা শরিফুল রাজ। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে তার কথা ছিল এমন, ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের শুটিং হবে একটানা। প্রায় একবছর ‘হাওয়া’র জন্য ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমিসহ হাওয়ার অন্যান্য শিল্পীরাও বিভিন্নভাবে নিজেদের ঝালাই করেছেন অনেকভাবে। অনেককিছু ত্যাগ করেছি।
কিছুদিন আগে ‘পরাণ’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, তাও নির্মাতা সুমন ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘হাওয়া’র কাজ শেষ করতে পারলে, দর্শকের শুধু গায়ে নয় মনেও ‘হাওয়া’ লাগবে বলে জানান ‘আইসক্রিম’-খ্যাত এই অভিনেতা।
‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণে আছেন কামরুল হাসান খসরু। প্রযোজনা করছে সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।