উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী সংগঠন ফোবানা এর ২০১৮ সালের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জর্জিয়া ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই তিন দিনব্যাপী ফোবানা সম্মেলনের আয়োজনে রয়েছে জর্জিয়ার, বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব জর্জিয়া। এর আগে ১৯৯৯, ২০০৬ ও ২০১৩ সালে আটলান্টায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর চতুর্থবারের মতো সম্মেলনটি এবারও আটলান্টায় অনুষ্ঠিত হবে। ‘জর্জিয়া অন মাই মাইন্ড’ স্লোগান সামনে রেখে আসন্ন ফোবানা সম্মেলন আয়োজকদের প্রথম প্রস্তুতি সভা সম্প্রতি পুনা রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাগতিক কমিটির কনভেনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন মেম্বার সেক্রেটারি নাহিদুল খান সাহেল ও মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি যথাক্রমে আতিকুর রহমান ও শাহ হালিম।
ডাউন টাউন আটলান্টার প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারের ওমনি আটলান্টা হোটেল সিএনএন সেন্টারে এবারের ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান কমিটির কনভেনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এবারের আয়োজন সম্পর্কে স্বাগতিক কমিটির কনভেনার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন: ২০০৬ সালে জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির আয়োজনে আটলান্টায় যখন দ্বিতীয়বারের মতো ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তখন তিনি সে সময়ে ছিলেন জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি। পাশাপাশি তিনি সেই কমিটির কনভেনার ছিলেন। আগের সেসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের সম্মেলন সফল ও সুন্দর সম্মেলন করার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা তিনি করে যাবেন।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন: প্রতিবছর ফোবানা সম্মেলন হয়ে থাকে সেপ্টেম্বরের লেবার ডে উইকেন্ডে। আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা সে সময়ে আমেরিকান কমিউনিটি আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি উপভোগে বঞ্চিত হন। তাই এবার জুলাইয়ে এই সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগিয়ে এবারে সফল ও সুন্দর সম্মেলন করার প্রত্যাশা রয়েছে। এ ছাড়া এবারের সম্মেলনে অতীতের সব ভুলভ্রান্তিও শোধরানো হবে বলে আশা করছেন তিনি। মেম্বার সেক্রেটারি নাহিদুল খান সাহেল, সোহেল আহমেদ, রোমেল খান, ডিউক খান ও গাইডেন হকিন্স- এবারের ফোবানা সম্মেলন আরও জাকজমকপূর্ণ করে আয়োজনে তাদের সার্বিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
এই বছরের ফোবানা সম্মেলন নিয়ে তোড়জোর চলছে বাংলাদেশেও। সম্প্রতি ঢাকা ক্লাবে ফোবানা আয়োজিত বিশেষ নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোবানা সম্মেলন’কে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আয়োজিত ওই নৈশভোজে স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিরা অংশ নেন। ফোবানা নির্বাহী কমিটি ও এবারের ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রীতিভোজে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য হাসনাত লিলি চৌধুরী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, এলজিআরডি সচিব মাহরুহা সুলতানা, বিআরটিসি চেয়ারম্যান ও সাবেক ফোবানা চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, রাষ্ট্রদূত আবদুস সালাম, মেজর জেনারেল এম শামীম আহমেদ, জেনারেল লোদি ও বন সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান সাইফুল আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, সামিট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও এস এম নূর উদ্দিন, হ্যালি বার্টনের স্থানীয় পরিচালক শিবলী হাসেম, এফবিসিসিআইয়ের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাজিব আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহির আহমেদ, টেকনোমিডিয়ার ড. যশোদা দেব নাথ, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মোশাররফ হোসেন তাঁর বক্তব্যে ফোবানা ও এর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে উপস্থিত সবাইকে আসন্ন ফোবানা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ফোবানার নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক শাহ হালিম, বিজনেস স্টাডি কমিটির চেয়ারম্যান রবিউল করিম, আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব নাহিদুল খান সাহেল, প্রধান সমন্বয়ক এম মওলা দিলু ও আয়োজক কমিটির প্রেসিডেন্ট ডিউক খান।
উল্লেখ্য, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় ‘আটলান্টা ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টার’-এ আগামী ২৭-২৯ জুলাই অনুষ্ঠেয় ৩২তম ফোবানা সম্মেলনের প্রচারের জন্য ফোবানা নির্বাহী কমিটি ও আয়োজক কমিটির নেতারা যৌথভাবে গত ২৪ মার্চ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। ফোবানার বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন: শুধু উত্তর আমেরিকাই নয়, স্বদেশের প্রতিও ফোবানার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই চেতনাকে ধারণ করেই প্রবাসের মাটিতে এই সুদীর্ঘ সময় ধরে বাংলার সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে কাজ করছে ফোবানা। ফোবানা নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সম্প্রতি সংগঠনটিকে বিশ্বের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ফোবানার এই বছরের বছরের আয়োজন নিয়ে তোড়জোর চলছে- প্রস্তুতি কেমন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‘উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ফোবানা এর ২০১৮ সালের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জর্জিয়া ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই তিন দিনব্যাপী ফোবানা সম্মেলনের আয়োজনে রয়েছে জর্জিয়ার ‘বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব জর্জিয়া। এর আগে ১৯৯৯, ২০০৬ ও ২০১৩ সালে আটলান্টায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর চতুর্থবারের মতো সম্মেলনটি এবারও আটলান্টায় অনুষ্ঠিত হবে।’
ফোবানার জন্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আতিকুর রহমান এর জবাব- ‘উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি বাঙালি কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগঠিত করে স্বীয় সাংষ্কৃতিক মুল্যবোধের বিকাশের পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার মূলধারায় রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটনে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোশিয়েশনস অব নর্থ আমেরিকা তথা ফোবানার জন্ম হয়।’
‘প্রতিবছরই ফোবানায় চমক থাকে- এবারের সম্মেলনে চমক কী থাকবে?- এই বিষয়ে তিনি বলেন: প্রতিবছর ফোবানা সম্মেলন হয়ে থাকে সেপ্টেম্বরের লেবার ডে উইকেন্ডে। আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা সে সময়ে আমেরিকান কমিউনিটি আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি উপভোগে বঞ্চিত হন। তাই এবার জুলাইয়ে এই সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে-এটি একটি চমক।’
সম্মেলন কেমন হবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা রয়েছে? এর জবাব দেন আতিকুর রহমান- ‘সবাই সক্রিয় আছে। দেশে বিদেশে যে যার অবস্থানে থেকে নিজেদের মত আয়োজন কাজ করছে। চমকের কথা বলা যাবে না। ফোবানা সম্মেলন সারা বিশ্বেই চমক জাগায় এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।’
‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আমেরিকার পরিপ্রেক্ষিতে কেমন দেখছেন আপনার বিশ্লেষণে?’ আতিকুর রহমানের সোজাসাপ্টা উত্তর:‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আকাশ ছোঁয়া। এইভাবে আরও দশ বছর চললে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। আমরা বিদেশে অবস্থানকারীরা আশাবাদী। সবসময় আমরা দেশের সাথে বাংলাদেশের পাশের আছি। এই দেশ আমাদের সবাই মিলে একে সুন্দর করতে হবে। অনেক স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে এখন- খুব ভাল সংবাদ। বিদ্যুতের দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে, রাজনৈতিক কোন্দল হয়নি- এইগুলো বড় পাওয়া।’
ফোবানার বিনিয়োগ বাংলাদেশে আরও বৃদ্ধি করা প্রসঙ্গে তার অভিব্যক্তি: বিনিয়োগ চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের নিজেদের বিনিয়োগ, আমেরিকার দেশীয় বিনিয়োগসহ রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিনিয়োগ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের সাথে কানেকটেড। বিদেশে থেকে সবসময়ই আমরা দেশের সাথে কাজ করি। এই সম্পর্ক আরও বাড়ছে। নতুন আমেরিকান এবং বাংলাদেশি প্রজন্ম আসছে এই নতুন প্রজন্ম এক সময় ফোবানার হাল ধরবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং সমৃদ্ধ নিরাপদ বিশ্ব নিশ্চিত করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগ, ভূমিকা এবং কাজ করে যেতে হবে।’
ফোবানা উত্তর আমেরিকা এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলমগীর জানান ২৭ জুলাই ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জর্জিয়া ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে- এই তারিখ কোন অবস্থাতেই পরিবর্তিত হবে না। দীর্ঘ বছর ইউএসএতে বাস করছেন তিনি। সেখানকার ফোবানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠন।’ এই সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন: ফোবানা হলো ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোসিয়েশন অব নর্দার্ন আমেরিকা। এটি একচুয়েলি আমব্রেলা অর্গানাইজেশন অব অল বাংলাদেশি এসোসিয়েশন। এই মুহূর্তে আমাদের সাথে ৮৮টি অর্গানাইজেশন আছে। পুরো আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট থেকে। প্রতিবছরই আমরা একটা কনভেনশন করে থাকি সেখানে আমরা সেখানে অলমোষ্ট মিলন মেলার মত। সেখানে প্রতি মাসেই আমাদের কোন না কোন অনুষ্ঠান থাকে।’
বাঙালি কৃষ্টি কালচার সেখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেন? প্রশ্নে মোহাম্মদ আলমগীর যোগ করেন: ঠিক তাই। দেশের কৃষ্টি কালচার এবং দেশের স্বাধীনতার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন প্রবাসে আমাদের সন্তানদের ভেতরে যেনো ছড়িয়ে যায়, তারা যেনো বুঝতে পারে এই দেশ কীভাবে স্বাধীন হয়েছে এবং সেই চেতনা ভেতরে প্রবাহিত করতে আমরা চেষ্টা করি।
ফোবানা সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকেও বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা যোগ দিতে যান? উত্তরে তিনি জানান: ‘ইনফ্যাক্ট আমরা প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে ১৫/২০ জন শিল্পীকে স্পন্সর করি এবং তারা সেখানে গিয়ে আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, তারা প্রবাসেও এতো পপুলার সারা আমেরিকা থেকে তাদের নামের উপরেও অনেক মানুষ সমাগম হয়।
ফোবানা আমেরিকাতে বসবাসকারী বাঙালিদের কীভাবে ফ্যাসিলেটেড করছে? :এটি খুবই মূল্যবান প্রশ্ন। ফোবানাতে আমি এখন ভাইস চেয়ারম্যান। এই সংগঠনে আমাদের ১৮টি কমিটি আছে সেগুলোকে বলে স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং এই কমিটিগুলোর সুপার ভাইস করি আমি। সেখানে মেইনস্ট্রিম কমিটি আছে যারা মেইনস্ট্রিম সিনেটের কংগ্রেসম্যান হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভ তাদের সাথে ওয়ার্ক করে এবং বাংলাদেশের ইন্টারেস্ট নিয়ে তারা সজাগ থাকেন যে কোন ইস্যুতে আমরা ওই মেইনস্ট্রিম কমিটি বিভিন্ন স্টেটে তারা নিজস্ব কংগ্রেসম্যান সিনেটরদের সাথে যোগাযোগ রাখে। সিমিলারলি আমাদের ওমেন্স এমপাওয়ার কমিটি আছে যে কমিটি আমেরিকাতে যে কোন বা বাঙালি বা উইমেনারা যদি অবহেলিত হয় তাহলে ১৮১০০ নাম্বারে ফোবানার মাধ্যমে যে কোন সময় ফোন করতে পারেন। ওয়েব সাইট কিংবা ইমিডিয়েটলি ইমার্জেন্সি সহযোগিতা পাবেন। এমন অনেক কালচারাল কমিটি আছে যেমন বিভিন্ন স্টেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন আর্টিস্ট আছেন যারা তাদেরকে কীভাবে প্রমোট করা যায়? ফোবানার কালচারাল কমিটি এইগুলো করে থাকে। স্কলারশীপ কমিটি আছে। যারা ভাল স্টুডেন্ট প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে ভাল করে প্রত্যেক বছরই ওই স্টেটে স্কলারশীপ দেওয়া হয়। এই ধরণের অনেক প্রোগ্রাম আছে।’
বাংলাদেশের দুর্যোগের মুহূর্তে ফোবানা কিন্তু অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে? এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোহাম্মদ আলমগীর জানান: ‘এখানে একটি কথা মেনশন করতেই হয়। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়ার্শিটন ডিসি এটি ফোবানার একটি সংগঠন। যেহেতু আমাদের ৮৮টি সংগঠন আছে। আমরা যখন এই রোহিঙ্গা দুর্যোগের কথা শুনলাম আমরা নিজেরা হোয়াইট হাউজের সামনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে এবং বার্মিজ অ্যাম্বাসির সামনে আমরা ডেমনস্ট্রেশন করেছি এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছি। এবং বার্মিজদের জন্যে আমরা প্রায় ১০ হাজার ডলার ইনফ্যাক্ট ওই ডলার আমরা বাকডিসি থেকে উঠিয়ে তা সরকারকে প্রদান করেছি।
ফোবানা সম্মেলন-২০১৮ এর কনভেনার এবং ইউএসএ ইনভেস্টমেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ প্রেসিডেন্ট জসীম উদ্দিন মনে করেন- এবারের ফোবানা সম্মেলন বিগত বছরগুলোর তুলনায় আরও বড় হবে।
আপনি দীর্ঘসময় ইউএসএতে আছেন এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউএসএ ইনভেস্টমেন্ট ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ-এ। বাঙালিদের একত্রিত করে ফোবানার মাধ্যমে কীভাবে কাজ করছেন? এই ব্যাপারে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন এর উত্তর: ‘আমি বলতে চাই এজ এ বিজনেস ম্যান হিসেবে যে, ফোবানা এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে সেতু বন্ধন থাকার কারণে আমার বিজনেসের সাকসেস এসেছিল। বিকজ এটি হলো কানেকটিং পয়েন্ট। ইউ নো পিপল এক্স ওয়াই জেড একজন কাস্টমার বললো- ইউ গো টু দিস প্লেস। ইউ নো ইউ গেট ইওর ইন্স্যুরেন্স এন্ড আদার সার্ভিসেস। ইট ইজ মোর লাইক এ সার্ভিস ওরিয়েন্টেড। ফোবানার মাধ্যমে আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি আমাদের বাংলাদেশিদের উত্তর আমেরিকাতে তাদের যে ফোকাসটা আসে তার সাথে আমরা একটা যোগসূত্র গড়ে তুলতে চাই বাংলাদেশ এবং আমেরিকার সাথে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই যে, বিজনেসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক সাকসেসফুল বিজনেসম্যান আছেন। তারা যেমন এইখানে সাকসেসফুলি বিজনেস করছেন তেমনি তারা কিন্তু ওখানেও বিজনেস করতে পারেন। সেই সাথে আমরা যারা আছি।
অনেকে কিন্তু আছেন যারা থ্রু ফোবানা এক্সপ্লোর করেছিল? তিনি বলেন: ফোবানা ইজ এ প্ল্যাটফর্ম। বিকজ আমেরিকার ৫০ স্টেট এবং আদার্স ইউ নো কানাডা এখান থেকে যারা আসেন নেতৃবৃন্দ আছেন তারাই কিন্তু এই শহরের সবাইকে চেনেন। আমাদের শহর- আমি আটলান্টাতে আছি। ৩৫ হাজার বাংলাদেশি সেখানে থাকেন।
২০১৮ এর কনভেশনশন তো আটলান্টাতেই হচ্ছে? উত্তরে তিনি বলেন: হ্যাঁ। আটলান্টাতে হচ্ছে। বিজনেসম্যান হিসেবে আমি বাংলাদেশি বিজনেস ম্যানদের রিকোয়েস্ট করবো যে, আপনারা ফোবানাতে আসুন। তার কারণ- কেন? এই খানে যারা বাবা মায়েরা আসেন এবং নতুন প্রজন্ম ক্রিম অব দ্যা কব যারা আসেন দে আর ব্রিলিয়ান্ট। দে হ্যাভ শ্যুড পুট এ বুথ দেয়ার কাম টু বাংলাদেশ দ্যা অপরচুনিটিজ আর আউট দেয়ার হোয়াট হ্যাপেন ইজ দেয়ার গেটিং বেনিফিটেড। যারা নিজের দেশে আসতে পারছেন। তাদের ক্ষেত্রে বেনিফিট দেয়ার গেটিং ক্রিম অব দ্যা কব দেয়ার বিকজ দেয়ার আর হ্যাজ মেনি গুড পিপল আর হেয়ার। ওখানেও আছে- উই ফিল লাইক দ্যাট ইট ইজ আওয়ার মরাল রেসপন্সিবিলিটি টু গিভ অপরচুনিটি টু ইচ আদার।
ফোবানা এভাবেই এনকারেজ করছে? ইতিবাচক ইঙ্গিতে জসীম উদ্দিন এর জবাব: এর সাথে আরেকটি জিনিস অ্যাড করি- বিজনেসম্যানদের কথা বললেন। যেমন,গত বছর বিজনেসম্যানদের নিয়ে আমাদের একটা প্রোগ্রাম হয় সেখানে আমরা ওই টিপিক্যাল মেইনস্ট্রিম বিজনেস ম্যানদের নিয়ে আসি। মেইনস্ট্রিম পলিটিশিয়ানদের নিয়ে আসি। এখান থেকে অনেক বিজনেসম্যান গিয়েছেন। তারা সেমিনারে কথা বলেছেন এন্ড দে এক্সচেঞ্জ দ্যা আইডিয়াস। ওখানকার বড় বড় বিজনেস ম্যানদের ওখানকার বড় বড় ল ফার্মদের নিয়ে আসি। ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরকেও নিয়ে আসি যারা এখন ইবি ভিসা করতে পারেন। এন্ড হোয়াট হ্যাপেন্ড ইট মেক সাস লুক গুড বিকজ এখান থেকে ওখানে গিয়ে ধরেন তিনি একটা ২০ তলা হোটেল করলেন। দে হ্যাভ এনাফ মানি। আমাদের দেশের অনেকেরই প্রচুর টাকা আছে। ওই হোটেল করতে গিয়ে তিনি হয়তো তার ফ্যামিলির যারা আছেন যেতে পারছেন বিজনেস ওখানে করতে পারছেন। প্লাস ওখানকার ইকোনমিতে কন্ট্রিবিউট করতে পারছেন। আমেরিকাতে যে জিনিসটা হচ্ছে ওইখানকার ইকোনমিতে যখন ইউ ক্রিয়েট অ্যা জব ইউ ইনভেস্ট মানি ইট লুক গুড অন আস। আমাদের দেশের বিজনেসম্যানরা গিয়ে ওই দেশে দে ক্রিয়েট হান্ড্রেড জব।
গর্বের সাথে তারা বলতে পারেন? :রাইট। এই সেতু বন্ধনটা আমরা করছি। অনেকেই করছে। যখন আমরা সম্মেলন করি- ১০ হাজার লোক আসেন। উই ইনভেস্ট সো মাস মানি টু দ্যাট সিটি। সো দি গর্ভনর অফিস দে নো দ্যাট লাইক এ বাংলাদেশি কমিউনিটি দে ইনভেস্টেড টুয়েন্টি মিলিয়ন ডলার জাস্ট থ্রি ডেস প্রোগ্রাম।
গেলো কয়েক বছরে বাংলাদেশ অথনৈতিকভাবে যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে প্রবাসীরা গর্বিত হতে পারেন বিদেশে বাংলাদেশকে নিয়ে। এই দেশে স্পেশাল ইকোনোমিক জোন তৈরী হচ্ছে এই দেশে- প্রবাসী হিসেবে আপনার মূল্যায়ন কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন: এবার বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন পরে এসেছি এবং অর্থনীতির যে জোয়ারটা এসেছে এবং এবার সবচেয়ে ভাল লাগলো যে, অনেক কিছু বাংলাদেশে বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে হচ্ছে।
পরিকল্পিত অবকাঠামো? জসীম উদ্দিন বলেন:আগে অপরিকল্পিত অনেক কিছু হতে দেখেছি কিন্তু বর্তমানে সবকিছু পরিকল্পিত হচ্ছে। আই থিঙ্ক দ্যাট দে হ্যাভ লং টার্ম প্ল্যান লং টার্ম গোল এবং এটার কারণে আমি মনে করি যে, আগামি দিনে বাংলাদেশের মানুষ এটির মাধ্যমে অনেকভাবে উপকৃত হবেন। আমি গতকালকেই দেখেছি ধরেন আপনার মেট্রো রেলের একটি প্রজেক্ট দেখেছি। এই সব কিন্তু আমাদের আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগে দরকার ছিল। অবকাঠামো যেটা এখন ঠিক করছে সেটা যদি আগে থেকে হতো তাহলে কিন্তু আমরা বর্তমানে যানজট মুক্ত থাকতাম। যতোটা হিউম্যান আওয়ার ট্রাফিকে নষ্ট হয়। এটি ইকোনমির জন্যে ক্ষতিকর। আমরা আশা করি বর্তমান সরকার এবং যারাই থাকেন বাংলাদেশের কর্ণধাররা কারণ এই দেশের অর্থনীতির মূল খাত কিন্তু প্রাইভেট সেক্টর। উদ্যোক্তাদের হাতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা কিন্তু সব কিছু চেঞ্জ করতে পারেন যে, আগামি দিনে কীভাবে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। আই থিঙ্ক আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি ঠিক হয়ে যায় ইনশাল্লাহ আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা টেলিকমিউনিকেশন কানেকটিভিটি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলে মনে হয় আপনার? এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান: হ্যাঁ। অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় জ্যামে যে কর্মঘন্টা নষ্ট হয় মোবাইল ফোনে ফোনে মিটিং গাড়িতে বসে। এই জায়গায় কাজ করতে হবে। একটির বেশি মিটিং ঢাকায় করা সম্ভব হয় না। দুই তিনটা জায়গায় দিনের বেলা ভিজিট করা যায় না? এটি কিন্তু বড় সমস্যা। এই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে।
এই বছরের ফোবানা সম্মেলনে বিশেষ কী থাকছে? উত্তরে তিনে বলেন:ফোবানা সম্মেলনই বিশেষ কিছু। এখানে আলাদা করে বিশেষ কিছু নির্ধারণ করার সুযোগ কম। তবে এই বছরের ফোবানা সম্মেলন আরও বড় হবে আশা করছি। আমরা সবাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থেকে কাজ করছি।
ফোবানা সম্মেলন-২০১৮ এর সদস্য সচিব প্রবাসী রিয়েল এস্টেট উদ্যোক্তা নাহিদুল খান ফোবানার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। আপনিও দীর্ঘদিন আমেরিকাতে আছেন। এবারের ফোবানা কনভেনশন নিয়ে আপনাদের প্ল্যানিং কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন: ২০১৮ এর ফোবানাটা একটু ডিফরেন্ট দ্যান বিফোর। এবারের ফোবানা সম্মেলনের যে ভেন্যু আমরা নির্ধারণ করেছি জর্জিয়া ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টার।
আমেরিকার ওয়ান অব দ্যা প্রেস্টিজিয়াস ভেন্যু? :হ্যাঁ। আমেরিকার ওয়ান অব দ্যা মোস্ট প্রেস্টিজিয়াস ভেন্যু এবং ইউনিক ভেন্যু। এটি আমরা নিয়েছি টু আওয়ার গোল টু অ্যাচিভ এন্ড সেট এ নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফর ফোবানা। এবার আরও কতোগুলো বিষয়ের দিকে আমাদের লক্ষ্য আছে। কনভেনার সাহেব যা বললেন যে, ফোবানা শুরু হয়েছিল সামাজিক এবং সাংষ্কৃতিক ভিশন নিয়ে সেখান থেকে ফোবানা বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছে। আর এখন ফোবানা সামাজিক এবং সাংষ্কৃতিক এর সাথে বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট এবং নিউ জেনারেশন ইন আমেরিকা আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা আছে তাদের দিকেও আমরা ফোকাস করছি।
ওমেন এমপাওয়ারমেন্টেও কাজ করছে ফোবানা?:এই প্রশ্নের উত্তরে নাহিদুল খান বলেন: জ্বী। আমাদের আইডিয়াটা হলো যে, আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন বাংলাদেশের শিকড়টাকে ভুলে না যায়। আমেরিকা মোটামুটিভাবে পরিচিত ব্রেইন ড্রেন বলে। সারা দুনিয়া থেকে ব্রেনি লোকদেরকে আমেরিকা নিয়ে যায়। বিকজ দে আর ইকোনমি সো স্ট্রং অ্যাজ এ কান্ট্রি। কিন্তু আমরা বাংলাদেশে এসে দেখলাম দু এক সপ্তাহের অভিজ্ঞতাতে বাংলাদেশ কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড ইজ মুভিং ভেরি ফরোয়ার্ড এন্ড ইউ নো অ্যাচিভ ভেরি গুড প্রগ্রেস। আমরা প্রমোট করতে চাই এবার যে, আমাদের কনভেনার সাহেব যা বললেন- আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে গুগল বা ইয়াহু বা অ্যামাজনের মত কোম্পানিতে তারা ইন্টার্নশীপ করার সুযোগ পায় সামারে। তো হোয়াট নট বাংলাদেশি কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে যারা আছে তারা এই ইয়াংদের অ্যাটাক করা- কাম হেয়ারা এন্ড ডু সাম ইন্টার্নশীপ ফাটটার দ্যা ফিনিশ দেয়ার স্টাডি।
এতে কিন্তু আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে? নাহিদুল খান বলেন: রাইট। দে ক্যান কাম ব্যাক। আমার আইডিয়া হলো এটি যে, ব্রেইন ড্রেন টা ইকুয়ালি রিভার্স করা।
বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা। আমাদের ল্যান্ড কম কিন্তু মানুষ বেশি। সবাইকে অ্যাকুমোডেট করতে হবে? আমেরিকার সাথে এই ব্যবসার তুলনা করলে নীতির ক্ষেত্রে কী কী সাদৃশ্য বা বৈপরীত্য দেখতে পান? এই প্রশ্নের জবাব দেন তিনি: রিয়েল এস্টেট মার্কেট যেটা আপনি বললেন, শুধু বাংলাদেশে নয়- সারা দুনিয়াতেই জনসংখ্যা বাড়বে এবং বেড়েই যাবে কিন্তু ল্যান্ড বাড়বে না। কারণ পৃথিবী তো আর বাড়বে না। পৃথিবী সেম এজ এ আর্থ। রিয়েল এস্টেট ভ্যালু ইট উইল গো আপ ইন এ কন্টিনিউয়াস প্রসেস এবং বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট এর ভ্যালুর আপ সাইড এখন পর্যন্ত এটার কোন কারেকশন হয়নি। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে বিশেষ করে আমেরিকায় আমি রিয়েল এস্টেট এর সাথে জড়িত। তাই আমি জানি যে, এটির একটা সাইকেল আছে। একটা সার্টেন টাইম এর পরে ইট উইল কারেক্ট ইটস আপ। কিন্তু বাংলাদেশে সেই কারেক্ট এখনো পর্যন্ত আমরা দেখি না। এটি হওয়া দরকার এবং বাংলাদেশে আরেকটি ব্যাপার হলো যেটা রেগুলেশন, বাংলাদেশের রেগুলেশন রিয়েল এস্টেট এর ব্যাপারে কতোখানি সরকার করেছে তা আমি সঠিক জানি না ডিটেইলড বাট এখন এইবার এসে দেখলাম যে, রিয়েল এস্টেট আগের তুলনায় বাংলাদেশে কিছুটা ডিসিপ্লিনড ওয়েতে হচ্ছে। আগে অনেক ইনডিসিপ্লিনড ছিল। এটি একটি গুড সাইন। তবে আপনার বাংলাদেশে যে বিশেষভাবে ইনভেস্টমেন্ট এবং রিয়েল এস্টেট-এর একটি প্রধান অন্তরায় আমি মনে করি যে, যানজট। এর জন্যে সরকারকে লং টার্ম ভিশন নিয়ে যানজটের সমস্যা দূর করা দরকার। এই ব্যাপারে সরকারের যারা নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে আছেন তারা এশিয়ার বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের এক্সামপুল তারা নেন তাহলে বিশেষভাপবে উপকৃত হতে পারবেন। বিকজ সিঙ্গাপুর ইজ এ ভেরি ভেরি ডিসিপ্লিনড সিটি। এছাড়া সেখানকার রিয়েল এস্টেট খুবই ভ্যালুঅ্যাবল। আর আমেরিকাতে আমরা যারা রিয়েল এস্টেট করি। আমেরিকাতে সব কিছু অনেক নিয়মের মধ্যে করতে হয়। অনেক ধরণের ইন্সপেকশন থাকে। কঠিন নিদির্ষ্ট প্রক্রিযার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমি সবাইকে এনকারেজ করবো, রিয়েল এস্টেট এর ভ্যালু বিবেচনা করে যদি পারেন রিয়েল এস্টেটে ইনভেস্ট করুন।
ফোবানার এবারের সম্মেলন নিয়ে কিছু বলুন? নাহিদুল খান বলেন: সারা পৃথিবী জুড়েই এই সম্মেলনের জন্যে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে কাজ চলছে। আশা করছি আয়োজন অনেক ভাল হবে। আমরা চাই বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা ফোবানার মাধ্যমে আমেরিকা এবং নর্থ আমেরিকাতে বিনিয়োগ করুক। বাংলাদেশের বিনিয়োগ আমেরিকাতেও রয়েছে। এই বিনিয়োগ আরও বাড়াতে সংযোগ সেতুর ভূমিকা পালন করতে পারে ফোবানা।
ফোবানা সম্মেলন-২০১৮ এর স্পন্সর এবং আমেরিকান প্রবাসী উদ্যোক্তা ফামা ক্যাশ এর নির্বাহী চেয়ারম্যান রবিউল করিম বেলাল বলেন: ফোবানা আমাদের গর্বের সংগঠন। প্রবাসী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ নিয়ে কী ভাবছেন? সমাজকল্যাণমূলক কাজ করার জন্যে নতুন কি পরিকল্পনা করছেন? এই প্রশ্নের জবাব দেন তিনি: আমাদের রুট বাংলাদেশ। এই দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছি। দেশের বাইরে গিয়েও দেশের জন্যে যুদ্ধ করছি। ফোবানার মাধ্যমে আমাদের ১০০ এর বেশি সংগঠন আছে। এই সংগঠনগুলো সবই জনসম্পৃক্ত জনকল্যাণ এবং সেবামূলক কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের নীলফামারি বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় আমরা ব্যক্তিগত এবং ফোবানার মাধ্যমে কাজ করছি।
গেলো দুই বছর আপনি ফোবানার চেয়ারম্যান ছিলেন আর এই বছর ফোবানার স্পন্সর হিসেবে আছেন? যোগসূত্র কীভাবে করছেন? জবাবে তিনি বলেন: ব্রিজ তো মেইনটেইন করতেই হবে। আর আমাদের রুট হলো বাংলাদেশ। আমাদের বাচ্চা বড় হচ্ছে। আমার ছেলে ওই দেশের তার বয়স ২১ বছর। এই দেশের সাথে তার সংযোগ স্থাপন করা আমার দায়িত্ব। ফোবানা সংগঠন থেকেও অনেক কাজ হচ্ছে ব্রিজ বিল্ডিংয়ের। বন্ডিং তৈরীতে সবাই কাজ করে। কারণ বন্ডিং বা যোগসূত্র স্থাপন যদি পরের প্রজন্মের সাথে করতে না পারি তবে তো কিছুই হবে না।
বাংলাদেশ নিয়ে এখন আপনি প্রবাসী হিসেবে কী ফিল করেন? রবিউল করিম বেলাল এর উত্তরে বলেন: আমি ফিল করি। বাংলাদেশে যখন আসি ওয়েদারটা ফিল করি, খাওয়া দাওয়া, কমিউনিকেশন ফিল করি। আসার জন্যে প্যাকেজ নাই। থাকলেও হয়তো আছে আমরা তা জানি না। বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে স্কুল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে দেশকে জানতে হবে। এই দেশে দেখার এবং বোঝার ও জানার মত অনেক কিছু আছে। বাংলাদেশে গবেষণার অনেক উপাদান আছে। পর্যটন কর্পোরেশন এই ব্যাপারে অনেক বেশি উদ্যোগ নিতে পারে।