সেই কবেকার কথা ওয়ান ইলেভেন ২০০৭ সালের প্রথম মাস জানুয়ারির (এই জন্য ওয়ান) আর ১১ তারিখ (ইলেভেন)। তার পর এক যুগের বেশি চলে গেল। কিন্তু ভূত যে কাঁধে চেপে আছে। তাড়িয়ে বেড়ায় কতজনকে। তখন অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমদ একাধারে রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে।
বিচারপতি কে এম হাসান ২৮ অক্টোবর (২০০৬) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রবল ‘লগি-বৈঠকের’ আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করার দুই দিন পর রাষ্ট্রপতিই বললেন ‘আমি রাজি’। সদ্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস ৫ নভেম্বর বঙ্গভবনের সংবর্ধনায় ‘একের ভেতর দুই’ ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে বললেন, ‘আপনি যত শক্ত হবেন, দেশ তত ভাল চলবে।’
হ্যাঁ, তিনি শক্ত হয়েছিলেন। গ্রহণযোগ্য,অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাকে সহায়তা করা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য দশ সদস্য বিশিষ্ট যে উপদেষ্টা পরিষদ তিনিই গঠন করেছিলেন, তার পরামর্শ তিনি গ্রহণ করতেন না। ক্ষুব্ধ উপদেষ্টারা ৬ নভেম্বর ড. আকবর আলী খানের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘মেঘনা’য় বৈঠক করেন। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি এম এ আজিজকে অপসারণ না করার সমালোচনা করেন। অনড় রাষ্ট্রপতি ৯ নভেম্বর সচিবালয়ে প্রদত্ত ভাষণে রাষ্ট্রপতি আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, তাঁর সরকার হচ্ছে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার। তাঁর কোনো কাজের সমালোচনা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে হস্তক্ষেপের শামিল, এটা তিনি স্পষ্ট করে দেন।রাজপথ তখন উত্তপ্ত। সরকারকে নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য বিএনপি বিরোধী শক্তি বার বার আহ্বান জানাচ্ছে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস ৭ দফা প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের মধ্যে শান্তি চুক্তি চাই। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে দুই ধরনের অনুভূতি কাজ করছে একদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে দুশ্চিন্তা। আন্দোলন দমনে সেনাবাহিনী নামানো হলে প্রবল সমালোচনা হয়। সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার বন্ধের দাবি নতুন করে ওঠে। এই সেনাবাহিনীই কিন্তু ছিল ওয়ান ইলেভেনের মূলে। ১১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীসহ তিন বাহিনী প্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে দেখা করে বাইরে চলে আসার পর জানা গেল। জরুরি আইন জারি হয়েছে। ২২ জানুয়ারি নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফকরুদ্দীন আহম্মদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এ পদে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. ইউনূস-এর নাম বিবেচিত হয়েছে। এমন জল্পনা ছিল। তবে তিনি টানা দশ বছর ‘সব কিছু পাল্টে দিতে’ ক্ষমতা চেয়েছিলেন। এমন শর্ত বিশেষ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেপথ্য কুশীলবরা গ্রহণ করতে রাজী হয়নি বলেই বিষয়টি এগোয়নি।এটা শুনেছি।
তবে ড. ইউনূস পুরো বিষয়টি একাধিকবার অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন।তিনি ওয়ান ইলেভেনের যাত্রা শুরুর এক মাস সাত দিন পর ‘নাগরিক শক্তি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল অংশ নেবে, এটাও তিনি জানান।
এ দলের পেছনে সামরিক শক্তি রয়েছে, এমন জল্পনা ডালপালা মেলতে থাকে। তবে দ্রুতই রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। ৭ মার্চ হাওয়া ভবনের তারেক রহমান গ্রেফতার হয়ে যান। ড. ইউনূস ৩ মে রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ থেকে সরে দাঁড়ান। শেখ হাসিনা গ্রেফতার হন ১৬ জুলাই। বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন দেড় মাস পর ৩ সেপ্টেম্বর।
ড. ফকরুদ্দীন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান পদে দায়িত্ব দেন সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মাসুদ চৌধুরীকে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এবং নামি-পরিচিত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা দুদকের জালে আটকা পড়তে থাকে। স্ত্রীরাও বাড় পড়েননি। কারও বাগান বাড়িতে হরিণ পাওয়া যায়। কারও বাড়িতে মেলে বিদেশী ‘নিষিদ্ধ’ মদ। কেউ বা নির্ধারিত দুই-তিন দিনের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেননি। কারও কারখানার গুদামে মেলে পচা গম কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ পাউডার মিল্ক। সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের তরফে অন্যায়-দুর্নীতির স্বীকারোক্তি সংবাদপত্র ও টিভি পর্দায় প্রতিদিন প্রকাশ পায়। জনগণ খুব খুশি। যারা নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করে এসেছে। তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পায়। আদালত দ্রুত সাজা দিতে থাকে, নির্বিচারে।
দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের অনেকে ভয় পায়। নিরীহরাও কেউ কেউ শঙ্কায় পড়ে। এক সরকারি কেরানি বাড়তি আয়ের জন্য টিউশনি করতেন। এই আয়ে কর দিতেন না, ভাবনায় আসেনি। ভয় পেয়ে নানা স্থানে ছোটাছুটি শুরু করেন। নামি-দামি কয়েকজন চিকিৎসক ভয় পান। দিনেই রোগীদের কাছ থেকে ভিজিট মেলে অর্ধ লক্ষ টাকা। কিন্তু আয়কর দেন গরীবি হালে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বরদের ঘরের চালে পাওয়া যায় রিলিফের টিন, বউয়ের পরনে রিলিফের শাড়ি। বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর অর্থমন্ত্রী অনেক বছর ধরে গোপন রাখা অপ্রদর্শিত আয় বাবদ কর প্রদান করেছেন বলে শোনা যায়।
ওয়ান ইলেভেনের ঠিক এক যুগ পর কি দুর্নীতিবাজরা ফের ভয় পেল? তখনকার মতো বড় রাজনীতিকরা ধরা পড়েনি। যুবলীগের জন দুয়েক কেবল ‘ক্যাসিনো-বন্দি’।
একাধিক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বলছেন, অভিযানের প্রধান লক্ষ্য দুর্নীতি কমিয়ে আনা। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নদী কিছুই বাদ যাবে না। দলের ভেতরেই শুরু শুদ্ধি অভিযান। কিন্তু সংবাদপত্র ও টক শো যে কেবলই যুবলীগ ও ক্যাসিনোময়! হাইকোর্টের রায় রয়েছে, নদনদী দখলমুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নদনদীর দুই তীর অবৈধ দখল মুক্ত করতে যে অভিযান আমরা দেখছি, তাতে ইতিমধ্যেই অন্তত ১২১ একর জমি উদ্ধার হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছেন শেখ রোকন, যিনি নদী নিয়ে কাজ করেন। নদী তীরের জমি রাজধানী ঢাকার মতো হয়ত দামি নয়। কিন্তু যথেষ্ট মূল্যবান, সন্দেহ নেই। কেউ কেউ মনে করেন, উদ্ধারকৃত জমি আরও বেশি। যদি ১২১ একর উদ্ধার হয়েছে। এটাই ধরে নিই, তাহলে এ জমি পানির দরে বিক্রি হলেও তো এক হাজার কোটি টাকার কম মিলবে না। অথচ আমরা দুর্নীতিবিরোধী অভিযান বলতে গেলে কেবল লোকমান-খালেদ-শামিমদের মধ্যেই সীমিত করে ফেলছি।
সম্প্রতি বালিশ, পর্দা নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে। সন্দেহ নেই যে সরকারি অর্থ ব্যয় এবং বিশেষভাবে কেনাকাটায় বিস্তর দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে এবং এটা চলছে যুগ যুগ ধরে। ঠিকাদারি কাজ কে পাবে, তার বণ্টনে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা হস্তক্ষেপ করেন, আমলারা হস্তক্ষেপ করেন। উন্নত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হস্তক্ষেপ করেন। বাংলাদেশ সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা একান্ত আলোচনায় বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ২০০ কোটি টাকা (২০ শতাংশ) নয়-ছয় চলে আপনারা অর্থাৎ সাংবাদিকরা টেরও পাবেন না। ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হলে খানিকটা হৈ চৈ হবে। এর বেশি দুর্নীতি হলে চারদিকে শোরগোল পড়ে যাবে। বিশেষ করে মুখরা হয়ে পড়বে বঞ্চিতদের দল। এমন সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথার্থই বলেছেন, সরকারি বরাদ্দের ব্যয়ে দুর্নীতি না হলে দেশের উন্নতি আরও বেশি হতো। এ কারণেই বলব, কেবল ক্যাসিনো নয়, হাত দেওয়ার আছে অনেক ক্ষেত্র। তাতে কারও কারও হাত পুড়ে যাক, ক্ষতি নেই। তবে এ ক্ষেত্রে ওয়ান-ইলেভেনের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রাখতে হবে। সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা। এটা বলে যেমন হাল ছেড়ে দেওয়া চলবে না, তেমনি একসঙ্গে সব ওলটপালট করে দেওয়া হলে যে পাল্টা আঘাত আসবে অপরিহার্যভাবে, সেটা সামাল দেওয়ার কৌশলও ভাবতে হবে। ওয়ান ইলেভেনের সময় বড় ব্যবসায়ীরা পাল্টা আঘাত হেনেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে দুর্নীতি-চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়েও দেখেছি যে ‘ক্ষতিগ্রস্তরা’ চক্রান্তে মেতে উঠেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর এই ‘ক্ষতিগ্রস্তরাই’ সর্বাগ্রে যোগ দিয়েছে সামরিক শাসকদের গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দলে।
যুবলীগের ওপর এখন পর্যন্ত যে সামান্য হাত পড়েছে, তাতে সরকারের ভেতরে সকলে খুশি, সেটা বলা যাবে না।
‘ঠিকাদারদের ওপর আঘাত আসায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা’ এমন প্রচার শুরু হয়েছে। যারা ঠিকাদারদের কাছ থেকে নানা অঙ্কের কমিশন পেয়ে আসছে। তারা বলছে নানা কথা। ‘এতদিন আঙুল চুষেছেন’ প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য কেবল মনের ক্ষোভ থেকে বিষোদগার, না-কি নতুন চক্রান্তের সূচনা সে প্রশ্ন স্বাভাবিক। অন্যদিকে, বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে, পচন ধরেছে সরকার ও আওয়ামী লীগের সর্বত্র। কিন্তু কেবল চুনোপুটি ধরা হচ্ছে। এ অভিযানে শাসক দল দুর্বল হয়ে পড়লে তারা উল্লসিত হতেই পারে। তবে জনগণ যদি মনে করে, শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করা যায় এবং তারা যদি আওয়ামী লীগের কিংবা এর অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বে থেকে দুর্নীতি করা ব্যক্তিদের নাজেহাল হওয়ার ঘটনায় উল্লসিত হয়ে শেখ হসিনাকে বাহবা দেয় সেটা তাদের জন্য মনস্তাপের কারণ হতে পারে। তবে আমি মনে করি, সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে এ অভিযানের মূল লক্ষ্য কি ‘অনৈছলামিক কর্মকাণ্ড হিসেবে পরিচিত মদ-জুয়া-ক্যাসিনোর’ বিরুদ্ধে, না-কি সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বড় অংশ সরিয়ে নেওয়ার যে ধারা চলে আসছে, সেটা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার জন্য।
যদি লক্ষ্য হয় শেষেরটি, তাহলে ক্ষমতাসীন দল এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের আরও বেশি করে জনসমর্থন আদায়ে মনোযোগী হতে হবে। তাদের দলের ভেতরে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সভা করতে হবে। জনসভা করতে হবে। গণমাধ্যমকে বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান আন্তরিক হলে এতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা সামনে রাখবে সরকারি দল ও অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকেই। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, পরিবহন মাফিয়ারা সামনে কোন ব্যক্তিদেরও ঢাল রাখতে হবে, সহজেই বুঝে যায়।
চাল বা পেঁয়াজ সিন্ডিকেটও জানে, কাকে সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে যেতে হবে। সরকারি নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি বণ্টন হয় পূর্ত বিভাগ থেকে। এখানের কর্মকর্তারা যখন যে দল ক্ষমতায় তার সমর্থক বনে যায়। বড় ঠিকাদাররাও ‘সব সময় সরকারি দল’। আশির দশকে মিরপুরের খালেক সাহেবের একটি মন্তব্য ছিল এ রকম ‘আমি দলবদল করি না। সরকার বদল হয়। আমি সব সময় সরকারি দলে থাকি।’
এবারের শুদ্ধি অভিযান অনেক প্রত্যাশার। ওয়ান ইলেভেনের সময় কোনো সরকারি দল ছিল না। কিন্তু যে সব কারণে সে অভিযান কাঙ্খিত ফল দেয়নি, সে অভিজ্ঞতাও মনে রাখতে হবে। বর্তমানে সরকারবিরোধী দল অনেক দুর্বল। কিন্তু ভুললে চলবে না যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অনেক মানুষ এখন সরকারের ওপর কড়া নজর রাখছে। ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছে। তারাই হয়ে উঠেছে প্রকৃত বিরোধী দল। সরকারে ও ক্ষমতাসীন দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা আছেন তারা নিশ্চয়ই জনগণের পালস বুঝতে পারছেন। ভারত আগেও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছিল। যেমন বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি বন্ধ রেখেছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়, শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম একদিনে দেড়-দুই গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেখাল একটি সিন্ডিকেট!
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।