শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনৈতিক শক্তি ইউএসএ এবং চীনের মধ্যকার ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ প্রভাব।
এর আগে ১৫ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমদানী পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। চীনও পাল্টা ঘোষণা দেয় যে, তারাও আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত বেশ কিছু পণ্যে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, সয়াবিন ও ওয়াইনের মতো পণ্য। অন্যদিকে চীনের প্রায় ১ হাজার ১০২ টি পণ্যের উপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অটোমোবাইলস, রোবটিক্স সহ বেশ কিছু প্রযুক্তি পণ্য রয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এর প্রভাব শুরু হতে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার ফলে, চীনের প্রায় ৫ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা। এর কেবল আমেরিকা কিংবা চীনেই নয় এর প্রভাব পড়তে পারে এশিয়া সহ বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারেও।
তাই দুই দেশের এই দ্বন্দ্বকে রীতিমত এক ধরণের অলিখিত ‘যুদ্ধ’ হিসেবেই দেখেছেন সবাই।
বেইজিং এই যুদ্ধকে অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ হিসেবে দেখছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রীর ভাষায়, ‘চীন আসলে আগে আক্রমণ করেনি কিংবা এ যুদ্ধে জড়ানোর কোন মনোভাব তাদের ছিল না। তাদের বাধ্য করা হয়েছে পাল্টা আঘাত হানতে।’
যুদ্ধ শুরু হবার পর পরই বিশ্ব পুঁজি বাজারে এর প্রভাব পড়াও শুরু হয়ে গেছে রাতারাতি। সাংহাই এর পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে টোকিও এবং হংকং এর পুঁজিবাজারেও।
যদিও ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ‘এই শুল্ক মূলত চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। বিশেষ করে আমেরিকার প্রযুক্তি ও মেধাসত্ত্বের চুরির প্রতিবাদ’।