সেরা চারের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার পরও প্রতিদ্বন্দ্বীতার উত্তাপে কমতি নেই। শীর্ষ দুই নিশ্চিতের হিসাব-নিকাশ যে এখনও বাকি। তেমন এক লড়াইয়ের ম্যাচে শীর্ষে থাকা কুমিল্লাকে ১৪ রানে হারিয়ে শীর্ষ দুইয়ের সম্ভাবনা ধরে রাখল খুলনা।
কুমিল্লা মঙ্গলবারের ম্যাচে নামার আগেই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগপর্বের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে। তামিমের দলের হাতে আছে লিগপর্বের আরও একটি ম্যাচ। ৮ নভেম্বর প্রথম কোয়ালিফায়ারে তামিমদের প্রতিপক্ষ হওয়ার দৌড়ে ছিল তিন দল। খুলনার জয়ে রংপুর সেই সম্ভাবনা থেকে ছিটকে গেছে। আবার দুইয়ে থাকা নিশ্চিত নয় মাহমুদউল্লাহদেরও। ঢাকা যদি বুধবার রংপুরকে হারাতে পারে তবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে লড়বে তামিম ও সাকিবের দলই। তখন পয়েন্ট সমান ১৫ হলেও রানরেটে টাইটানসদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে ডায়নামাইটসরা।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে খুলনা টাইটানস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৬০ রানে আটকে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবালের ৩৩ বলে ৩৬, ইমরুল কায়েসের ১৯ বলে ২০, শোয়েব মালিকের ২৩ বলে ৩৬ রানে লড়াইয়ে থাকলেও প্রয়োজনীয় রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায় হার দেখতে হল কুমিল্লাকে। শেষ দিকে মারলন স্যামুয়েলসের ১৫ বলে অপরাজিত ২১ কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
টাইটানসের হয়ে আবু জায়েদ রাহি ও বেনি হাওয়েল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহর ঝুলিতে গেছে একটি উইকেট।
এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিচেল ক্লিঞ্জারের ব্যাটে দ্রুতগতির ৫৫ রানের শুরু পায় টাইটানসরা। ৬ ওভারের জুটিটি ভাঙে শান্ত বোল্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে। ফেরার আগে ৪ চার ও ২ ছয়ে ২১ বলে ৩৭ রানের অবদান রেখে গেছেন তরুণ বাঁহাতি।
ক্লিঞ্জার পরে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩২ রান যোগ করেন। ফিরেছেন একটি করে চার-ছয়ে ২৯ রানে। মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ টেকেননি। একটি করে চার-ছয়ে ২৩ বলে ২৩ রানের অবদান তিনে নেমে পড়া অধিনায়কের।
পরে নিকোলাস পুরান (৮) দ্রুত ফিরে গেলে রানের গতিও কমে আসে টাইটানসদের। সেখান থেকে দেড়শ পেরোনো সংগ্রহের রাস্তা করে দেন আরিফুল হক ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। দুজনে ৪ ওভারের ঝড়ে ৪৭ রান যোগ করেন।
ব্র্যাথওয়েট ৩ চার ও এক ছয়ে ১২ বলে ২২ রানে রানআউট হয়ে সাজঘরে হাঁটা দেন। আরিফুল শেষপর্যন্ত লড়ে ফেরেন ৪ চার ও এক ছয়ে ২১ বলে ৩৫ রানে।
কুমিল্লার হয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা আল-আমিন হোসেন, অবশ্য ৪ ওভারে ৫২ রান খরচ করে ব্যয়বহুলও আগের ম্যাচেই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া এই পেসার।