করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে দৈনিক শীর্ষ তালিকায় ভারত, এমনটা গত দু’মাস ধরেই চলে আসছে। প্রতিদিনই সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে দেশটিতে।
এরই মধ্যে আসন্ন শীতে সংক্রমণের মাত্রা লাফিয়ে বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গবেষকদের বিভিন্ন রিপোর্টে তেমনটা বলা হচ্ছে।
এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান, কোভিড-১৯ একটি শ্বাসবাহিত ভাইরাস এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় তার সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শ্বাসবাহিত ভাইরাস ঠাণ্ডা ও শুকনো আবহাওয়ায় বেশিদিন কার্যকর থাকে। আরও একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, শীতে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভিড় বাড়ে। তাই ভারতীয় প্রেক্ষাপটে আশঙ্কা করা ভুল হবে না যে, শীতে সংক্রমণের হার বাড়বে।
একাধিক ইউরোপীয় দেশ, বিশেষ করে ব্রিটেনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওই সমস্ত দেশে শীতের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই আশঙ্কা থেকে শীতের প্রস্তুতি হিসেবে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, মাস্ক ব্যবহার করুন এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন।
হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, ব্রিটেনের অ্যাকাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের সমীক্ষা অনুযায়ী, শীতেই বিপদের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাবে। ২০২১ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলে জানানো হয় রিপোর্টে।
সম্প্রতি জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সতর্ক করেছে, আসন্ন শীতে দিল্লিতে প্রতিদিন ১৫,০০০ সংক্রমণ ঘটতে পারে। শীতে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। দিল্লির বাইরে থেকে বহু রোগীর আসার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে প্রান্তিক এলাকা থেকে আসা রোগীদের অবস্থা বেশি কঠিন হতে পারে।
এছাড়া উৎসবে জনসমাগম বাড়লে রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয় রিপোর্টে।