শীতকালে শিশুদের ঠাণ্ডা কাশি, পাতলা পায়খানার পর সবচেয়ে প্রচলিত যে স্বাস্থ্য সমস্যা হয় তা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। যার শুরু পানি কম পান করা দিয়ে। একটু সচেতন হলেই আমরা এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।
কোষ্ঠকাঠিন্যের উপসর্গ কী কী?
১. সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করা ২.মল শক্ত, শুষ্ক ও ত্যাগে কষ্ট ৩.মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব করা ৪. পেট ব্যথা ৫. শক্ত পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া।
কী কী কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়?
১. পানি কম খাওয়া ২. আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া ৩. অপরিচিত পরিবেশ ৪. দৈনন্দিন নিয়মের পরিবর্তন ৫. গরুর দুধে এলার্জী ৬. এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস ৭. খাদ্যনালীর জন্মগত প্যারালাইসিস রোগ (Hirschsprung disease)।
কোন কোন বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয়?
১. যে বাচ্চারা পানি কম খায় ২. যে বাচ্চারা আঁশযুক্ত খাবার কম খায় ৩. কম সক্রিয় বাচ্চারা ৪. যে বাচ্চাদের মলদ্বার ও মলাশয়ে কোন রোগ আছে ৫. যে বাচ্চাদের স্নায়ুবিক সমস্যা আছে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কী কী জটিলতা তৈরি করে?
১. মলদ্বার ছিড়ে যাওয়া(এনাল ফিসার) ২. মলাশয়ের কিছু অংশ মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসা (রেকটাল প্রলাপ্স) ৩. ব্যথার জন্য বাচ্চার মলত্যাগের ভীতি।
কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা যায়?
১. বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করানো ২. বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ানো ৩. বাচ্চাকে কায়িক শ্রমের উতসাহ দেয়া ৪. নিয়মিত মল ত্যাগের অভ্যাস গড়ে তোলা। মূলত দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিন টয়লেটে বসানো ৫. মলত্যাগের ভীতি থাকলে তা দুর করা।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
১. জ্বর হলে ২. বাচ্চা না খেলে ৩. পেট ফুলে গেলে ৪. বাচ্চার ওজন কমে গেলে ৫. মলত্যাগের সময় ব্যথা হলে ৬. মলাশয়ের অংশ মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে এলে।
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য মূলত অভিভাবকদের একটু সচেতনতাই পারে প্রতিরোধ করতে। সুস্থ থাকুক আমাদের বাচ্চারা।