শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যার ঘটনায় সিলেটের শহরতলীর কুমারগাঁও এলাকা থেকে জড়িত অভিযোগে মুহিত আলমকে আটক করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত মুহিতের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম, সহযোগী আলী হায়দার ও ময়না মিয়াদেরও খুঁজছে পুলিশ ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই হত্যাকান্ডের সাথে একই পরিবারের তিন ভাই এবং অনেকে জড়িত আছে। এদের মধ্যে এক ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ভিডিওচিত্র দেখে মুহিতের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুলের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয়ে রোববার বিকেলে পুলিশ তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এরআগে, সিলেটে চোর সন্দেহে রাজন নামে ১৩ বছরের এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটির ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তাতে দেখা দেখা যায় শিশুটি বাঁধা অবস্থায় পানি চাইলে তাকে ঘাম খেতে বলা হয় এবং তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
পরে লাশ গুম করার সময় একজনকে পুলিশ আটক করে। নিহত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে।
মঙ্গলবার সিলেটের কুমারগাঁও উপজেলার বাস স্টেশন এলাকার সুন্দর আলি মার্কেটের সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে । শিশুটি আদৌ চুরি করেছিলো কিনা সে বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। অথচ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছে। শিশুটির মৃত্যুর পর লাশ গুম করার সময় মুহিতকে আটক করে পুলিশ। তবে ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আর কাউকে আটক করা যায়নি।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, নির্যাতন ভিডিওচিত্রে ধারণ করার বিষয়টি শুনেছি এবং এটি দেখেছে এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথাও হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে মামলার চারজন আসামীই সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিওচিত্র ধারণসহ পুরো ঘটনার ব্যাপারে মুহিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।