ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার শিশু ফরহাদ হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী খুশি হলেও উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন আসামী পক্ষের স্বজনরা। রায়কে সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
মুক্তাগাছার খেরুয়াজানি গ্রামের আইয়ুব আলীর ৮ বছরের শিশু পুত্র ফরহাদকে ২০১০ সালের মে মাসের ৪ তারিখে লিচু দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী কমলা বেগম। পরে ফরহাদ আর বাড়ি ফিরে আসেনি। ৩ দিন পর হাত, পা ও জিভ কাটা অবস্থায় বাড়ির পুকুর পাড়ে ফরহাদের মৃতদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা।
এ ঘটনায় ফরহাদের পিতা বাদী হয়ে ১২/১৩ জনের নামে মামলা করলে আসামীদের স্বীকারোক্তিতে ৬ জনকে ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবনের রায় দেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ফরহাদের পিতা। মামলার বাদীর সাথে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবোধ চন্দ্র সরকারও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা যদি আপিল করে তাহলে সেটার প্রেক্ষিতে আমাদের রাষ্ট্রপক্ষের যা কর্তব্য তা পালন করবো।
তবে এ রায়ে খুশি নয় আসামী পক্ষের স্বজনরা। রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান তারা। আসামী আব্দুল কুদ্দুসের ভাগ্নে সেলিম মিয়া বলেন, আমরা কোনো বিচার পাইনি। এখন উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি ফরহাদের স্বজন ও এলাকাবাসীর।