শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে রাজধানীর মুগদার একটি বাসা থেকে অভিযান পরিচালনা করে কে. এম মীরাজুল আজম(২৮) নামে একজন কে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও আজ রোববার তা জানায় পুলিস। সেসময় শিশু পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত তার মোবাইল ফোন, অন্যায় ডিভাইস ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডি সমূহ জব্দ করা হয়।
রোববার কাউন্টার টেররিজমের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের’ অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ জানান, সাইবার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন টিম, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, সিটিটিসি, ডিএমপি, ঢাকা কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং তথ্যের ভিত্তিতে সাইবার পেট্রোলিং করার সময় এই অভিযুক্তের সন্ধান পায় ও প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত অনলাইনে উঠতি বয়সী শিশুদের সাথে যোগাযোগ করে পর্নোছবি ও ভিডিও সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ করেছে এবং তাদের নিজেদের পর্নোছবি ও ভিডিও প্রদান করতে উৎসাহিত করছে।
এভাবে দেশী বিদেশী শিশুদের কাছ থেকে তাদের পর্নোছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে আপলোড করে আসছে।
সাইদ নাসিরুল্লাহ আরও বলেন, অভিযুক্ত মীরাজুল আলম তার ব্যবহৃত হোয়াটসএ্যাপ আইডিতে ভারতীয় অপ্রাপ্ত এক বয়স্ক নারী ভিকটিমের অশ্লীল ছবি এবং তার ব্যক্তিগত অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে উক্ত ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরালের হুমকি দিয়ে ভিকটিমের কাছ থেকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার ভারতীয় রূপি ব্যাংক একাউন্ট এ দেবার জন্য দাবি করে।
রমনা মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।