দেশে শিশু নির্যাতন বাড়েনি বরং নির্যাতনের ধরণ বেড়েছে বলে মনে করছে সরকার। অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকার এবং প্রশাসন বারবার ব্যর্থ। শিশু নির্যাতন বন্ধে করনীয় নিয়ে উন্মুক্ত সংলাপে এসব কথা উঠে এসেছে।
সরকারি তথ্যমতে, দেশের প্রায় ১০ লাখ শিশু যাবতীয় মৌলিক ও সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আর কেবল কিছু সুবিধা পাচ্ছে ৩৬ লাখ শিশু। সব শিশুকে সমান সুযোগ দিতে সরকারে উদ্যোগের কমতি নেই তারপরও ঘাটতি অনেক।
বাল্যবিবাহ এবং শিশু নির্যাতন বন্ধে রাজধানীতে এই উন্মুক্ত সংলাপ। নিজেদের অধিকার এবং সরকারের করণীয় জানতে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলো ছিন্নমুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিশুরা। শিশুদের প্রশ্নের জবাব দিতে হাজির ছিলেন সরকার প্রশাসন আর মানবাধিকার কর্মীরা।
ছিন্নমূল শিশুরা তাদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, বন্ধে সরকার আর প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, আমাদের মতো অনেক মেয়েরা নির্যাতনে শিকার হয় প্রতিদিন। কিন্তু থানায় গেলে তাদের কোনো বিচার ব্যবস্থা করে না। গরিব বলে আমাদের আলাদা জয়গায় বাস করতে হয়। অন্য কোনো এলাকায় গেলে ঘর ভাড়া দিতে চায় না। তার শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকার আর প্রশাসনের সহযোগিতা আমাদের একান্ত দরকার।
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কাজে ব্যবহার না করার অনুরোধ মানবাধীকার কর্মী সুলতানা কামাল, রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো এসব শিশুদের ব্যবহার করা হয় কিন্তু তাদের সুরক্ষার দেয়ার জন্য সৎ সুষ্ঠু কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।
শিশুর নিরাপত্তা আর নির্যাতন বন্ধে পুলিশ অনেক ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় প্রচারণা বিগত কোনো সরকারের আমলে দেখা যায় নি। তবে এখন দেখা যাচ্ছে।
শিশু নির্যাতন বন্ধসহ দলিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকার আর জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয় উন্মুক্ত সংলাপে।