চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শিশু আব্দুল্লাহ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

কেরানীগঞ্জে শিশু আব্দুল্লাহকে অপহরণ করে হত্যা ও অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার মূল অভিযুক্ত মোতাহার হোসেন র‌্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে নিহত হয়েছে।

গতকাল রোববার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চিতাখোলা এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে শিশু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোতাহার নিহত হয়।

কেরাণীগঞ্জের পশ্চিম মুগারচর এলাকার ২৯ জানুয়ারির ঘটনা। পাশের বাড়ির চাচা মেহেদী খেলার ব্যাট-বল কিনে দেবে এমন কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ থাকলে পাশের বাড়ির কয়েকজনের মোবাইলে এসএমএস আসে সাড়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে মুক্তি পাবে আব্দুল্লাহ।মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা বিকাশ করা হয়। কিন্তু ৫ দিন পর মেহেদীর বাড়িতে ড্রাম থেকে আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের পরিবার জানায়, জানুয়ারির ২৯ তারিখে আব্দুল্লাহকে অপহরণ করা হয়। তার কাকা (আব্দুল্লাহর বাবার চাচাতো ভাই) মেহেদি তাকে ব্যাট-বল দেবে এমনটি জানিয়েই শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে বেড়িয়ে যায় সে। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি। আব্দুল্লাহর দাদা মোতাহেরের (আব্দুল্লাহর বাবার চাচা) ঘরে পরে তার লাশ পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহর বয়স ছিলো ১১ বছর নয় মাস। নয় বছর বয়সী তার একটি ভাই রয়েছে। কারো সাথে তাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই বলে জানান আব্দুল্লাহর খালা।

২০০০ সাল থেকেই কুয়েত প্রবাসি আব্দুল্লাহর বাবা এই হত্যার সাথে যারা জড়িত আছে সকলের ফাঁসি দাবি করেন। মেহেদীর বাবা মোতাহার জাল টাকার ব্যবসা করতেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। আশপাশের টিনের ঘরের পাশেই অপহরণকারীদের দোতালা বাড়িতে ছিলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা।আব্দুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মেহেদীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মূল হোতা মোতাহার পলাতক ছিলো।