শিশুকে স্কুলে পাঠাতে রাষ্ট্র এবং সরকারকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে হলে প্রতিবেশি দেশগুলোর মতো প্রাথমিক শিক্ষায় বেশি বিনিয়োগ করা প্রয়োজন বলে মনে করে নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিআইসিএস।
বর্তমানে দেশে, প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তি হার ৯৯ শতাংশ। সরকারের দাবি, কমেছে ঝরে পড়া শিশুর হার। নাগরিক অধিকার ও সংবিধান নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাডিজ-বিআইসিএস বলছে, প্রাথমিক শিক্ষা আইনে অনেক কিছুই বলা নেই।
বিআইসিএসের পরিচালক আরিফ খান বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ২০২১ সালে আমরা যে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছি আর ২০৪০ সালে আমাদের জাতীয় যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেষ্টা করছি। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ করবো, আমরা স্বাধীনতার একশ’ বছর পূর্ণ করবো। ঐ সময় বাংলাদেশ রাষ্ট্র কতটা প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের নাগরিকদের জীবনমান নিশ্চিত করবে সেটা বহুলাংশে নির্ভর করছে প্রাইমারি শিক্ষার উপর।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার উপর আমাদের বিনিয়োগ এবং নজরদারি বাড়াতে হবে।
বিআইসিএস সংগঠনটি মনে করে, প্রাথমিক শিক্ষার সবকিছুই সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক হওয়া প্রয়োজন।
আরিফ খান বলেন, বাধ্যতার বিষয়টাকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। একভাগ বাধ্যতামূলক করা হলেও আরেকটা ভাগ বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
ভারত, নেপাল আর মালদ্বীপও প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশের মতোই এগিয়ে যাচ্ছে, এমন মন্তব্য করে পরিচালক বলছেন, নিজেদের অর্জন আরো বাড়ানোর জন্য এখন থেকেই টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন।