পরিচালক সমিতির সঙ্গে শাকিব খানের যা হয়েছে সেটা শাকিবের ব্যক্তিগত বিষয় আখ্যায়িত করে এ কারণে শিল্পী সমিতির নির্বাচন আটকে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মনতাজুর রহমান আকবর। এছাড়া এই নির্বাচন বন্ধের এখতিয়ার বর্তমান শিল্পী সমিতির সভাপতির নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের সদস্য খোরশেদ আলম খসরু।
রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা এসব কথা বলেন। নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহারসহ স্থগিতের আশঙ্কার প্রেক্ষিতে আজ রবিবার এফডিসির নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গত ২২ এপ্রিল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাকিব খান বলেছিলেন, তাকে দেয়া উকিল নোটিশের ফয়সালা না হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
মনতাজুর রহমান আকবর জানান, ‘নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত মে মাসের ৫ তারিখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর আমরা সে অনুয়ায়ী সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাকিব খানের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।’
নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের সদস্য খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘নিয়ম অনুসারে তিনটি কারণে নির্বাচন বন্ধ হতে পারে। এগুলো হলো- দুপক্ষের সংঘর্ষের কারণে কারও মৃত্যু হলে, দুর্যোগপ্রবণ আবহাওয়া এবং সরকার থেকে নির্দেশনা। এছাড়া কোনো কারণে নির্বাচন বন্ধ হবে না। তাই এ নির্বাচন বন্ধের এখতিয়ার শাকিব খানের নেই।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। ১৬ এপ্রিল ছিল মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার শেষ দিন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬২৩ জন। এ নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান, ওমর সানি-অমিত হাসান, ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা’র তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
প্রতি দুই বছর পরপর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন শাকিব খান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান। ওই বছর ৭ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন এই কমিটি।
২০১৫-১৬ কমিটির মেয়াদ চলতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। দুই মাসের মাথায় এসে গত ৮ এপ্রিল আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।