‘একজন শিল্পী যে সম্মান নিয়ে পৃথিবী থেকে যেতে চান, আমার বাবাকে সেই সম্মানই দেওয়া হচ্ছে’- শহীদ মিনারে বাবা আমজাদ হোসেনের মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে এভাবেই বলছিলেন ছোট ছেলে সোহেল আরমান।
শনিবার সকাল থেকে প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেনকে শহীদ মিনার চত্বরে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ। যেখানে শেষবারের মতো গুণী এই নির্মাতা, অভিনেতা ও গীতিকারকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছেন চলচ্চিত্র ও শিল্প সাহিত্যের বিভিন্ন সংগঠন।
মৃত্যুর আগে আমজাদ হোসেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সেবা পেয়ে গেছেন। আর সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সোহেল আরমান বলেন, বাবা অসুস্থ হলে শুরুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছেন। সহায়তা দিয়ে ব্যাংককে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। দেশের মানুষ বাবার সুস্থতা কামনায় কেঁদেছেন। একজন শিল্পীর চলে যাওয়ার সময় এরচেয়ে প্রাপ্তি আর হতে পারে না।
দেশের প্রতি আমজাদ হোসেনের ভালোবাসার কারণেই মৃত্যুর আগে দেশও তাকে সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সোহেল আরমান। তিনি বলেন, বাবা এই দেশটাকে মনে প্রাণে ভালোবাসতেন। তিনি সব সময় আমাদের বলতেন, এই দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছি, সব সময় ভালোবাসবে। এই দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসবে। এতো ভালোবাসার কারণেই বোধহয় বাবা এই দেশ ও দেশের মানুষের ভালোবাসা নিয়েই বিদায় নিলেন।
এদিকে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আমজাদ হোসেনের মরদেহ এফডিসি ও পরবর্তীতে চ্যানেল আইয়ে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে আমজাদ হোসেনের মরদেহটি নিয়ে যাওয়া হবে জামালপুর। কিংবদন্তি এই চলচ্চিত্রকারের শেষ ইচ্ছানুযায়ী জামালপুরেই সমাহিত হবেন তিনি।
গেল শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ হোসেন। এর আগে গেল ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ২৮ নভেম্বর রাতে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককে নেওয়া হয়।