ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩০২ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রুহাইল নাজিরের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান তুলেছে পাকিস্তানিরা। ১১১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
সুমন খান তিনটি, হাসান মাহমুদ দুটি ও মেহেদী হাসান নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করা সৌম্য সরকার ফাইনালে ছিলেন বেশ খরুচে। ১০ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।
সকালে বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারে প্রথম আঘাত হানেন ডানহাতি পেসার সুমন খান। ওমর ইউসুফকে (৪) সাজঘরে পাঠান উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে। পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ১৮ রান।
পাকিস্তানের দলীয় ফিফটির আগেই দ্বিতীয় সাফল্য পান সুমন। আরেক ওপেনার হায়দার আলিকে (২৬) ফেরান নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। তৃতীয় উইকেট জুটি বদলে দেয় পাকিস্তান ইনিংসের চেহারা। রুহাইল ও ইমরান রফিক জুটিতে ১১৭ রান যোগ করলে দেড়শ পেরিয়ে যায় তারা।
অফস্পিনার মেহেদী ভাঙেন জুটিটি। সৌম্যর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরান। এ বাঁহাতি ৮৮ বলে করেন ৬২ রান। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। চতুর্থ উইকেটেও বড় জুটি গড়ে পাকিস্তান। সেঞ্চুরিয়ান রুহাইলের সঙ্গে অধিনায়ক সৌদ শাকিল ৮৫ রান যোগ করলে সংগ্রহ বড় হতে থাকে অতিথি দলের।
শাকিল ৪০ বলে ৪২ রান করে সুমনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। ১১৩ রানের ইনিংস খেলা রুহাইল নাজিরকে এলবিডব্লিউ করেন হাসান মাহমুদ। পরে এ পেসার নেন খুশদিল শাহ’র উইকেট। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৭ করেন এ ব্যাটসম্যান। আহমেদ বাট অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। খেলেন ৭ বল।
পাকিস্তানকে তিনশ’র মধ্যেই আটকে রাখা যেত। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। ইয়াসির আলি রাব্বি একাই ছেড়েছেন দুটি সহজ ক্যাচ।