চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শিরোপায় চোখ রেখে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড

২০ বছর পর ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে আবারও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। ফলাফল যাইহোক, বিশ্বকাপ দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। নতুন ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে অভিজাত লর্ডস। প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেতে লর্ডসের বাইশ গজে লড়াই ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

এর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেললেও ট্রফি জেতেনি দুই দেশের কেউই। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমবার মুখোমুখি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ১৯৯৯’র পর আবারও লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনাল। দুদলই নেমেছে সেমির অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে ২৩৯ রান তুলেও বোলারদের দাপটে ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায় উইলিয়ামসন অ্যান্ড কোং। ১৮ রানে কোহলিদের হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে আসে তারা।

২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেললেও এমসিজির বাইশ গজে খেতাবের লড়াইয়ে আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার মেনেছিল কিউইরা। এবারও নিউজিল্যান্ডের খেতাব জয়ের সামনে আরও এক আয়োজক দেশ। ইংল্যান্ডকে টেক্কা দিতে পারলে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পাবে রিচার্ড হ্যাডলি ও মার্টিন ক্রো’র দেশ।

অপরদিকে, এজবাস্টনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট কাটে ইংল্যান্ড। ইংলিশরা এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও এখনো বিশ্বজয়ের স্বাদ পূরণ হয়নি। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২’র পর আবার বিশ্বকাপ ফাইনালে তারা।

শেষবার মেলবোর্নে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২২ রানে হারে গ্রাহাম গুচের ইংল্যান্ড। সেবারও ফেভারিট হিসেবেই ফাইনাল খেলতে নেমেছিল গুচের দল। রোববার লর্ডসের ফাইনালেও ফেভারিট হিসেবে মাঠে মরগান বাহিনী। লিগে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই সেমির ছাড়পত্র পেয়েছিল ইংল্যান্ড।