ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম বল। একদম মিডল স্টাম্পে পিচ করা বল, আঘাত হানতে পারতো জেসন রয়ের লেগস্টাম্পে! পায়ে লাগায় এলবিডব্লিউয়ের আবেদন, সাড়া দিলেন না সাউথ আফ্রিকান আম্পায়ার। রিপ্লেতে দেখা গেল বল স্টাম্পেই লাগতো!
শুরুতেই আম্পায়ারদের এমন সিদ্ধান্ত, সমস্যায় পড়তে পারতো নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেখান থেকে নিজেদের বোলিং দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউইরা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে চ্যাপ্টা ইংল্যান্ড। হারিয়েছে টপঅর্ডারের ৪ উইকেট।
ইংল্যান্ড-৯৮/৪ (২৬)
আম্পায়ারের কল্যাণে বেঁচে গেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রয়। বিপজ্জনক হওয়ার আগেই তাকে ষষ্ঠ ওভারে টম ল্যাথামের ক্যাচ বানান ম্যাট হেনরি। ফেরার আগে ২০ বলে ১৭ করেছেন ফর্মে থাকা ইংলিশ ওপেনার।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে বড় চাপের মাঝে ফেলে দেন জো রুট। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে তাকে সিঙ্গেল বের করতে দেননি কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। রান বের করতে না পেরে হাঁসফাঁস করছিলেন রুট। সেই চাপ থেকে বের হতেই কিনা আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা, তাতে ২ রানে থাকার সময় কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছিলেন রুট। সেসময় আউট না করতে পারলেও গ্র্যান্ডহোম পরে ঠিকই প্রতিশোধ নেন! ৭ রানে রুটকে বানান ল্যাথামের ক্যাচ। যাওয়ার আগে রানের চেয়ে অনেক বেশি ২৩ বল খেলে দলকে চাপে ডুবিয়ে যান রুট।
রান বাড়ানোর চাপটা পরে ঘায়েল করেছে জনি বেয়ারস্টোকেও। অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সঙ্গে মিলে যখন রান বাড়ানোর চেষ্টায় মন দেন, তখনই করলেন ভুল। লোকি ফার্গুসনের অফস্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে হন বোল্ড। ৫৫ বলে ৩৬ করে দলকে রেখে যান বিপদে।
টেকেননি মরগানও। ৯ রানে ক্যাচ দিয়েছেন। নিশামের বলে অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফার্গুসন যে ক্যাচটা নিলেন, সেটা টুর্নামেন্টেরই অন্যতম সেরা ক্যাচ হবে।