খুব শিগগিরই বোধহয় জামা কাপড় কেনার বদলে ‘ফ্যাশন রেন্ট হাউজ’ থেকে কাপড় ভাড়া নেয়ার প্রচলন শুরু হচ্ছে ব্যাপক হারে। সে ক্ষণটি আর বেশি দূরে নয়।
এমন ধারণা প্রকাশ পেয়েছে বিবিসির একটি সিরিজ রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়, মানুষজন আসলে কাপড় কিনে সেটি বারবার ধুয়ে লন্ড্রি করার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য এমনটি করবে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়েতে গাউন, কোর্ট, শেরওয়ানি কিংবা মুকুট ভাড়া নেয়ার প্রচলন তো বেশ আগে থেকেই।
চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎ করে চীনের একটি বিজ্ঞাপন সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তোলে। সেখানে ফ্যাশনের ব্যতিক্রমী এক মার্কেটিং ব্যাবস্থা দেখানো হয়। জিয়াং নামের সেই মেয়েটি ভিডিওতে ফ্যাশন হাউজে যাওয়ার বদলে সবাইকে দেখায় দারুণ এক লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রি।
বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াই ক্লোসেট’ সেখানে দেখায় লন্ড্রি হাউজটি সেখানে মানুষজনকে লন্ড্রি সেবা দিচ্ছে না। বরং সেটি নারীদের কাছে লেটেস্ট ফ্যাশনের কাপড় ভাড়া দিচ্ছে।
তবে কাপড় ভাড়া নেয়ার বিষয় এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ সালে নিউইয়র্কে এ ধারণা প্রথম আসে। এর ধারাবাহিকতায় সানফ্রানসিস্কোতে ‘লে টোট’ এবং যুক্তরাজ্যে ‘গার্ল মিটস ড্রেস’ নামের হাউজগুলোও কাপড় ভাড়া দিয়ে আসছিল।
চীনে জনপ্রিয় হওয়া ‘ওয়াই ক্লোসেট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল ওয়াং বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য দ্রুত ফ্যাশন মার্কেটে জায়গা করে নেয়া। যেখানে গ্রাহকরা আমাদের পণ্য ব্যবহার করে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
মাইকেল আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে ১ কোটির বেশি নারী রেজিস্ট্রেশন করেছে। তবে সবাই কাপড় ভাড়া নেয় না। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৮০ লাখের মতো মানুষ এই সার্ভিস গ্রহণ করেছে। যার সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।