শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ নিরসনে আশ্বস্ত করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৪ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ফি ও বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তি বিষয়ে অসন্তুষ্টি ও উদ্বেগ জানিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে এই আশ্বাস দেয় প্রশাসন।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন। এসময় তিনি উপাচার্য এর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি তুলেছেন তা হলো-আবাসন সংকটের তীব্রতা, বেতন-ফিস বৃদ্ধি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবব্যবস্থাপনা, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়া এবং শিক্ষার্থী বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত ও অবহিত না করা।
এছাড়া স্মারকলিপির সাথে শিক্ষার্থীরা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বিস্তারিত সংযুক্তি প্রদান করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানযোগ্য বিষয়গুলো ইতিমধ্যে সমাধান করা হয়েছে বলে দাবি করেন ছাত্র পরিচালক।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর বন্ধ হওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে রাত ৮.৩০টা করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেন।
স্বল্পমেয়াদী বিষয়গুলো সমাধানের ব্যাপারে প্রশাসন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান তিনি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতন্নেছা মুজিব হলের বর্ধিতাংশে শিক্ষার্থীরা আবাসন সুবিধা পাবে বলে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরিবহন পুলে ইতিমধ্যে দুটি নতুন বাস যুক্ত হয়েছে এবং ডিসেম্বরে আরও একটি যুক্ত হবে।
দীর্ঘমেয়াদী বিষয়গুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষ আন্তরিক বলে জানান।
ছাত্র পরিচালক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ মেগা প্রজেক্ট একনেকে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এটি সম্পন্ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক বিষয়াদি ধারাবাহিকভাবে সমাধান হবে।
দাবি আদায়ে সক্রিয় বাংলা বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ইয়াছিন বলেন, আমাদের অধিকাংশ দাবি নির্দিষ্টভাবে পূরণ হয়নি। তবে প্রশাসন কথা দিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি ভরসা ও শ্রদ্ধা রাখছি। আমরা আশাবাদী।