‘টিভি মাধ্যম, প্রিন্ট মাধ্যম ও অনলাইন মাধ্যমে কাজ করেছেন আপনি, এই তিনটি মাধ্যমের মধ্যে কোনটিকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখতে চান?’
‘দুর্নীতি দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা কতটা?’ ‘ধর্মীয় জঙ্গিবাদ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষার উপায় কি?’ সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে এমন নানান প্রশ্ন নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইন সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খানের কাছে হাজির হয় শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকালে ময়মনসিংহের সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব আয়োজন করে ‘সম্পাদক সমীপে, সবিনয়ে জানতে চাই’ শিরোনামের প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানের। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন চ্যানেল আই অনলাইন সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান।
অনুষ্ঠানে তিনি কোমলমতি শিশুদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন সবিস্তারে। কখনো হাস্যরসে, কখনো গুরুগম্ভীর আলোচনায় জমে উঠে অনুষ্ঠান।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে চ্যানেল আই অনলাইন সম্পাদক বলেন, ‘লেখাপড়া যেটাই করো, সেটা বুঝে করো। যদি তুমি ভালো মানুষ না হও তাহলে তুমি সফল মানুষ না। জিপিএ কখনোই মেধার মাপকাঠি নয়, কিন্তু মেধাবীদের জিপিএ ভালোই হয়।’
দশম শ্রেণীর ছাত্রী মনি আক্তার, মেহেদী হাসান, সানজিদা আক্তার তুলির মতো ৩০ জন শিক্ষার্থী নিজেদের প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয় অনুষ্ঠানে।
সেসময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্ন আসে সম্পাদকের লেখা বই নিয়েও। প্রশ্ন আসে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা নিয়ে, জঙ্গিবাদ নিয়েও।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জঙ্গিবাদবিরোধী প্রশ্নে খুশি হয়ে জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, ‘প্রশ্নটা তুমি করছো মানে তুমি সচেতন হয়েছো। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধেই সবাইকে দাঁড়াতে হবে। কাউকে মেরে ফেলা যদি একমাত্র পথ হয়, তাহলে সেটা কোনো পথ না। বাংলাদেশে বড় বিতর্কের বিষয় জঙ্গিবাদ। আমি যদি মনে করি এভাবে করলে জঙ্গিবাদ দূর হবে, অন্য কেউ ভাবতে পারে এভাবে করলে জঙ্গিবাদ দূর হবে। তবে মূল কাজ হবে সবাইকে সচেতন করে তোলা’।
দুর্নীতি দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্নীতির নানান ঘটনা সাংবাদিকরা রেকর্ড করে, ভিডিও করে, নানাভাবে সেসব প্রকাশ করেছে। আগেও তারা দুর্নীতি দমনে প্রভাব রেখেছে এবং আরো বেশি রাখার সুযোগ রয়েছে।
বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ হয় দেড় ঘণ্টাটা প্রশ্নোনোত্তর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মনির হোসেন মামুন। সেসময় স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক হাসিমউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত হন।
এর আগে সকালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চ্যানেল আই অনলাইন সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান।