অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে হত্যাকারী দ্রুতই গ্রেফতার হবে বলে জানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সমাবেশে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিসহ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি জানানো হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শিক্ষক-ছাত্র-সুধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করে ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় এই আহ্বান জানান তারা। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড যেন আর না ঘটে। এ ব্যাপারে পুলিশকে আরো সতর্ক থেকে অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারর আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের আহবান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘ রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্যারের হত্যার তদন্ত দ্রুত সমাপ্ত হোক এটাই চাই। অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হোক তা চাই। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক’।
অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং হত্যাকারী শীঘ্রই গ্রেফতার হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন,‘ আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের পক্ষে নই। এই হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আমরা অবশ্যই বিচারের ব্যবস্থা করবো। এব্যাপারে তদন্তের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা। তাই আপনাদের অনুরোধ করবো, আপনারা দয়া করে আপনাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে থেকে মৌন মিছিল বের করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সমাবেশে যোগ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী কর্মকর্তা পরিষদ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
গত ২৩ এপ্রিল শনিবার মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসভবনের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শনিবার দুপুর সোয়া একটায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে তিন মন্ত্রী ছাড়াও পুলিশের আইজি শহীদুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজান উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এম শহীদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনু উপস্থিত ছিলেন।