নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দেয়া প্রতিবেদনে সন্তোষ
প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের
ফলাফল দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্ট। শিক্ষক লাঞ্ছনার মামলার
পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে ৭ আগস্ট।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবেদন দিতে ৬০ দিন সময় চায় পুলিশ। নতুন করে প্রতিবেদন দেয় জেলা প্রশাসন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন জানান, পূর্বের প্রতিবেদনে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে না পারায় জেলা প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করেছে।
গত ২৯ মে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘দায়সারা’ উল্লেখ করে তা গ্রহণ করে করে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের কল্যাণদির পিয়ার সাত্তার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে প্রথমে একদল লোক মারধর করে। পরে সেলিম ওসমান ও স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয় তাকে। বরখাস্ত করা হয় প্রধান শিক্ষকের পদ থেকেও।
ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট। ১৮ মে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট আদেশ দেওয়ার পর ২২ মে আদেশের কপি পান ডিসি, এসপি ও বন্দর থানার ওসি।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, ধর্ম অবমাননার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। শিক্ষকের অপসারণ আইনী না হওয়ায় তাকে পুনর্বহালও করা হয়।