নারায়ণগঞ্জে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে’কে নিগ্রহের জন্য সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে মঙ্গলবার ১৭ মে বিকাল ৫ টায় শাহবাগে সমাবেশ করবে লেখক-শিল্পী-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কর্মিবৃন্দ। স্থানীয় এমপি ও ‘তার তল্পিবাহী’ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
‘লেখক-শিল্পী-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কর্মিবৃন্দ’র পক্ষ থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্বেষমূলক ঘটনাগুলোয় রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ও আক্রান্তকেই দোষারোপ-শাস্তি পরবর্তী গুরুতর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্ম দিচ্ছে অভিমত দিয়ে অভিযোগ করা হয়, “এর পেছনে এমপি সেলিম ওসমানদের মত স্বার্থান্বেষীরা জড়িত। কোনো তদন্ত বা অনুসন্ধান হচ্ছে না যে কারা গুজব ছড়াচ্ছে, তারা কী ভাষা ব্যবহার করছে আর কিইবা তাদের স্বার্থ? সরকারের উচ্চপদস্থ লোকেরা ভিকটিমদের ঘাড়ে ঘটনার দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন।”
ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের গুজব ছড়িয়ে মারধর এবং পরে এমপির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে চরম অপমান করার এই হতবুদ্ধিকর ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়। চিন্তাজগত অবশ করে দেয়া শনিবারের ঘটনাটির প্রতিবাদ এবং এরকমই কয়েকটি সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ঘটনার পরস্পরা রুদ্ধ করার আহবান জানিয়ে মঙ্গলবারের এই সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
শনিবারের বর্বরতম নিপীড়নের আগেও একই ধাঁচের কয়েকটি সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ঘটনার দৃষ্টান্তের উল্লেখে সেখানে বলা হয় “বাগেরহাট জেলার চিতলমারীর হিজলায় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অপর একজন শিক্ষককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ও গুজব ছড়িয়ে তাদেরকে স্কুলের মধ্যে ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বসিয়ে তাদের শাস্তি দেন। ছয়মাসের কারাদণ্ড এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফেসুবকে লেখার সূত্র ধরে কুড়ি বছর বয়সী একটি মেয়ের উপর চড়াও হয় একদল দূর্বৃত্ত। সেই মেয়েটিকেও গ্রেপ্তার করে জেলে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে।”