চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘শিক্ষকের বৈষম্যমূলক আচরণে’ জবি শিক্ষার্থীর অনশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শামস শাহরিয়ার কবিরের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে অনশন করেছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষ।

সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অনশন করেন তিনি। পরে বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে অনশন থেকে সরে আসেন তিনি।

শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘নাটকের মহড়ার জন্য চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লিখলে ওই স্যার আমাকে বলে এখন চেয়ারম্যান তোমাকে গাইড করবে। আমি তোমার পরীক্ষা নিব কিন্তু গাইড করব না। এ কারণে আমার সাথে তিনি পাঁচ বছর ধরেই বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন, মানসিক ভাবে অপদস্থ করে যাচ্ছেন। এমন কি তিনি আমার জীবন ধ্বংস করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। ক্লাসে বসলে স্যার বলেন তুমি এখানে বসবা না, দৃষ্টিকটু লাগে সরে বস। তিনি নাটকের মহড়া কক্ষেও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘চেয়ারম্যান স্যার ও প্রক্টর স্যারের আশ্বাসে আমি অনশন থেকে সরে এসেছি। উনারা বলেছেন আমার সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হবে। যদি মেনে নেওয়া না হয় তখন আন্দোলন করার কথা বলেছেন উনারা।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাট্যকলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শামস শাহরিয়ার কবি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মিডটার্ম নিয়ে ওর সাথে ঝামেলাটা হয়েছে। ওদের ২০ জনকে ২০টি নাটক করতে দিয়েছিলাম। যাতে কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ না হয়, সেজন্য কিছু নিয়ম করেছিলাম। তাদের কাজটি দিয়ে আমি ছুটিতে চলে যাই। তখন অন্য শিক্ষার্থীরা ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে, সে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাহায্য নিয়েছে কাজটি করার ক্ষেত্রে। পরে আমি তাকে বলি তুমি যার সাহায্য নিয়েছ তার কাছে পরীক্ষা দাও। সে সরি বললে পরবর্তীতে আমি তার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেই কিন্তু কোন ধরণের সাহায্য আমি করব না তা বলেছি।’

এ বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ও অনশনে বসেছিল পরে শিক্ষকরা এসে তাকে নিয়ে গেছে। আমাদের সহকারী প্রক্টর বিভাস কুমার সাহা সমাধানের জন্য তাকে বিভাগে পাঠিয়ে দিয়েছে। সমঝোতা হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আর কিছু করার নেই। ও আমাদের কাছে কোন অভিযোগ দেয়নি।

বিভাগের চেয়ারম্যান কামালউদ্দিন খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ঘটনাটি আমি আজকে সকালেই শুনলাম। আমাকে সে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল। লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেনি। সে প্রথমেই চূড়ান্ত পদক্ষেপে চলে গেছে। এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।