দিনাজপুরের বীরগঞ্জ গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রহারে আহত হয়ে ৩ ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও বিক্ষুদ্ধ জনতা স্কুল ঘেরাও করে ভাংচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রশাসন ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের যৌথ সিদ্ধান্তে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
ঘটনার সততা স্বীকার করে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মনজুর জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার ৮ম শ্রেণীর বিজ্ঞান ক্লাশ চলাকালে পড়া না পারায় শিক্ষার্থী মমতাজ পারভীন, তানজিনা আক্তার ও শান্তা খাতুনকে বেদম প্রহার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।