সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস আজ ১৭ সেপ্টেম্বর। ১৯৬২ সালের এই দিনে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম-না-জানা অনেকেই। তাঁদের স্মরণে এই দিনকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মহান শিক্ষা দিবসে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে কিছু কথা লিখেছেন শিক্ষক ও লেখক সুদীপ্ত হাননান।
সুদীপ্ত হাননান ফেসবুকে লিখেছেন,
“১৭ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট এই দিনে শিক্ষকদের জন্য :
এক. কেবল আমার সন্তান ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হোক বা ভালো রেজাল্ট করুক এ রকম চিন্তা না করে আমাদের চাওয়া উচিত যেন সব ছাত্র-ছাত্রী ভালো রেজাল্ট করে , ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে…
দুই. আমরা নগন্য কিছু বাড়তি টাকার জন্য যেন অধ্যক্ষ বা অথরিটির নিকট অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা না বলি, তাঁদের সামনে বসে থেকে থেকে কাজের অবহেলা না করি, … প্রতিনিয়ত দু’একটি কমিটিতে বেশি থাকার অবৈধ আশায় যেন ব্যস্ত না থাকি …
তিন. যথাযথভাবে ক্লাসে যেন সময়টুকু ব্যয় করি, কোনোকিছু পড়ে পড়ানো দরকার হলে যেন তা নিজে পড়ে তারপর পড়াই … যেন প্রাইভেটের আশায় শিক্ষার্থীকে অবহেলা বা অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেই …
চার. খাতা যথাযথভাবে দেখে যেন মূল্যায়ন করি …
পাঁচ. যে কলেজেই পোস্টিং হোক যেন তাকে নিজের শিক্ষকতাস্থল মনে করি …
ছয়. শিক্ষার্থীকে যেন পাঠের পাশাপাশি সৎ, সাহসী, উদ্যোমী, সৃজনশীল, দেশপ্রেমের শিক্ষাও দেই … যা দিয়ে মূলত তার শিক্ষার পরিচয় ভবিষ্যতে প্রমাণ হয় … এ দেশের অধিকাংশ চোর, ডাকাত, ঘুষখোর যে আমাদের মতো শিক্ষিতরাই …
সাত. ভালো কাজের প্রশংসা করতে যেন ইতস্তত না করি …
আট. সহ-শিক্ষা কার্যক্রমকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে চালু করার উদ্যোগ নেই, কেবল বাজেট খরচের জন্য যেন তা না করি, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ অর্থ যেন শিক্ষার্থীদের কাজে খরচ করার চেষ্টা করি …
নয়. আমরা যেন আসলেই শিক্ষক হই …”