সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে সড়ক পরিবহন ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ জাতীয় কমিটিতে সাবেকমন্ত্রী শাজাহান খানকে আহবায়ক করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা রীতিমতো হাস্যকর ও তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নতুন তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়য়েও সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই শ্রমিক নেতার কারণেই সড়কে যতো প্রাণহানি ও বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। যখনই সড়কের অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে, তখনই এই শাজাহান খানরাই বাধার সৃষ্টি করেছে। মূলতঃ সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য এই নেতাই অনেকাংশে দায়ী। কাজেই তাকে আহবায়ক করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার নামে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তা জাতির সঙ্গে তামাশা মাত্র।
তিন বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা এবং মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কত যে পুণরাবৃত্তি হবে তা বলাই বাহুল্য। জনগণের নিকট যখন জবাবদিহিতা থাকে না তখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীরাই সর্বত্রই বেআইনি কর্তৃত্ব করে। তাদের দ্বারা জনগণ ক্রমাগত প্রতারিত হতে থাকে। মিডনাইট নির্বাচনের পর এটি জনগণের সাথে আরেকটি শ্রেষ্ঠ প্রহসন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশে আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হলো- স্বয়ং অর্থমন্ত্রী বলেছেন তিনি এই তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়টি জানেন না। ব্যাংক লুটের কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন আবারও নতুন করে তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন ব্যাংক লুটের পথকে আরও প্রসারিত করলো। বর্তমানে অনুমোদনকৃত তিনটি ব্যাংকসহ দেশের অধিকাংশ ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা কিংবা তাদের স্বজনরা। যখন পূর্বের ঢালাওভাবে অনুমোদিত ব্যাংকগুলো ধসে পড়েছে তখন আবারও তিনটি ব্যাংকের অনুমোদনে এটি সুষ্পষ্ট যে, জনগণের সর্বশেষ সঞ্চয়টুকু শোষণ করতেই মিডনাইট সরকারের খয়ের খাঁ-দের নতুন তিনটি ব্যাংক দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরীতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে ঢাকা মহানগরীতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসনেরই প্রতিফলন। নাৎসী দুঃশাসনের তামসীক প্রভাব খাটিয়ে আকস্মিকভাবে প্রায়দিনই গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা, ঢাকাবাসীকে মহাদুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে। নিত্যদিনের এই ঘটনায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ঢাকা মহানগরীতে চুলা জ্বালানোর অন্য কোনো উপায় নেই, সরকার এদিকে দৃষ্টি না দিয়ে ফাঁপা উন্নয়নের ছবি দেখানোর জন্য জনগণের জীবন-যাপনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর সরবরাহকেও বাধা দিতে কুণ্ঠিত হচ্ছে না। একব্যক্তির হুকুমের শাসন জারি আছে বলেই জনগণের চাহিদাগুলোকে পদদলিত করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।