শান্তি চুক্তির নামে পাহাড়িদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন পাহাড়ি জনগোষ্ঠির নেতারা। তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন বিভিন্ন রাজনীতিক, শিক্ষক এবং আইনজীবীরা। বাংলাদেশকে ‘স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান’ আর পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘সেনাশাসিত’ অঞ্চল উল্লেখ করে নেতাদের দাবি, জুম্ম সম্প্রদায়ের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার।
অস্থিতিশীল পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘ সমঝোতার ফল হিসেবে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সই হয় পার্বত্য শান্তি চুক্তি। তবে চুক্তি হলেও পাহাড়ি জনগোষ্ঠির সঙ্গে দূরত্ব কমেনি কোনো সরকারের। উল্টো চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি অভিযোগে বারবারই আন্দোলনে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠি। চুক্তির ১৯ বছর পুর্তিতে সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন বক্তারা।
আদীবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন,‘ আদীবাসী পাহাড়ি মানুষের সঙ্গে এই চালাকি,প্রতারণা করা অন্যায়’।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠি সেনা-পুলিশ ও বিজিবি’র অত্যাচারের শিকার বলে মন্তব্য করে চুক্তি অনুযায়ী অপারেশন উত্তরণসহ অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি এবং জুম্ম শরণার্থীদের পুনর্বাসনের দাবি তোলেন বক্তারা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’র সভাপতি জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেন,‘ একটা খাঁচায় যেনো বন্দি আছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম পুরোটাই একটা সেনানিবাস। সেখানে যেদিকে তাকাই দেখি শাসকদের অবিশ্বাসী দৃষ্টি। এমন পরিস্থিতিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এসে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের কথা দিলেও আমি বিশ্বাস করবো না’।
চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে হরতাল, অবরোধ, অফিস-আদালত বর্জন, ছাত্র ধর্মঘট এবং অবৈধ জমি দখল প্রতিরোধের মতো কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নেতারা।