ইউক্রেনের সাথে আরেক দফা শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে আক্রমণের মাত্রা আরো বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী।
তবে যে কোনো ধরনের হামলা অথবা রাশিয়ার আল্টিমেটামের কাছে মাথা নত না করার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
প্রায় চার সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে রাশিয়ায়। এরপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন শহরে নির্বিচারে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে রুশবাহিনী। এরই মধ্যে প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের সাথে কয়েক দফা শান্তি আলোচনাও করে রাশিয়া। সবশেষ সোমবার আবারো বৈঠকে বসে দু’পক্ষ। কিন্তু তাতে আশানুরূপ অগ্রগতি আসেনি।
সোমবার কিয়েভের আবাসিক এলাকা ও শপিংমলে গোলাবর্ষণে ৮ জনের মৃত্যু হলে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করেন কিয়েভের মেয়র। রুশবাহিনীর দখল করা খেরসন শহরে সাধারণ জনগণের বিক্ষোভে গ্রেনেড হামলা চালায় রুশবাহিনী। মারিউপোলে আত্মসমর্পণে রাশিয়ার বেঁধে দেওয়া সময়সীমা প্রত্যাখ্যান করেন ইউক্রেনীয় সেনারা।
এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, মস্কোর সঙ্গে আপোষে প্রস্তুত কিয়েভ, তবে ইউক্রেন কখনই রাশিয়ার আল্টিমেটামের কাছে মাথা নত করবে না। কিয়েভ, মারিউপোল বা খারকিভের মতো শহরগুলো রাশিয়ার দখলদারিত্ব মেনে নেবে না ঘোষণা দেন তিনি।
এছাড়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে কিনা তা নিয়ে ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি দেখা দিয়েছে। জোটের কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পক্ষে অবস্থান নিলেও বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে জার্মানি-নেদারল্যান্ডসের মতো ইইউয়ের নেতৃস্থানীয় দেশগুলো।
বেলারুশ খুব শিগরই ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে এবং তাদের মাটিতে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করার অনুমতি দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ন্যাটোর একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এমন পরিস্থিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী শুক্রবার পূর্ব ইউরোপের এই ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশটিতে বাইডেনের যাওয়ার কথা রয়েছে।