প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: শান্তিই উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও কল্যাণের একমাত্র পথ, আর সেভাবেই যুব সমাজকে তৈরি করতে হবে।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি শান্তিরক্ষী সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও সততা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন: বাংলাদেশকে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার দেশ হিসেবে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যেন দেশের পতাকা সমুন্নত থাকে।
১৯৮৮ সালে ইরাক যুদ্ধে প্রথম শান্তিরক্ষী পাঠায় বাংলাদেশ। এরপর ৩৩ বছরে দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ অনন্য ভূমিকা রাখে, উজ্জ্বল হয়েছে দেশের ভাবমূর্তি। বর্তমানে ৮টি দেশে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর ছয় হাজার সাতশ বিয়াল্লিশ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছেন। পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ।
‘স্থায়ী শান্তির পথ: শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তরুণদের শক্তি ব্যবহার’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে শান্তিরক্ষী মিশনে জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের পরিবারের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিশ্বের যেকোন প্রান্তে নিপীড়িত, নির্যাতিতদের পাশে বাংলাদেশ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন: মানবিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই পথ চলতে চায় সরকার।
বিভিন্ন মিশনে কর্মরত শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী, এসময় তিনি শান্তিরক্ষীদের সাহস ও প্রেরণা যোগান।