ঢালিউডের এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক কে? এমন প্রশ্নে এক সেকেন্ডেই সবার উত্তর একটাই হবে- শাকিব খান। আর এই উত্তর চলছে প্রায় এক দশক ধরেই।
শুরুটা করেছিলেন প্রায় দুই দশক আগে, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বোন ইরিনার সাথে জুটি বেঁধে প্রথম সিনেমা ‘অনন্ত ভালোবাসা’। সেই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও শাবনূরের সাথে জুটি বেঁধে শুরু করলেন বাজিমাৎ করা।
রিয়াজ-ফেরদৌস কিংবা প্রয়াত নায়ক মান্নার ভিড়ে নিজের মেধা, প্রতিভাকে সবার সামনে ঠিক মতো তুলে ধরতে পারেননি শাকিব। তবে, তাঁর উত্থানের মূল শুরুটা বলা যায় ২০০৮ সালের পর থেকে। ঢালিউডে সে সময় নায়কের বেশ অভাবই বলা চলে।
আর ঠিক সে সময়েই যেন ঢাকাই সিনেমার হাল ধরেছেন শাকিব খান। একের পর এক বাণিজ্যিক ধারার সফল ছবিতে অভিনয় করে দর্শককে করেছেন হলমুখী। বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের কথা তাঁকে ছাড়া অনেকদিন পর্যন্ত কল্পনাও করতে পারেনি, পারছেন না প্রযোজন-পরিচালকেরা। গত কয়েক বছরে ঢালিউডে নতুন মুখ এসেছে ঠিকই, কিন্তু একজনও জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে শাকিবের কাছাকাছিও যেতে পারেন নি এখন পর্যন্ত। দেশের বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একাই টেনে নিয়ে যাওয়ার নায়ক তিনি।
এদেশে ঈদ মানেই দেশের সাধারণ জনগণের কাছে শাকিবের সিনেমা। বৈশাখ মানে শাকিবের সিনেমা। ভালোবাসা দিবস মানে শাকিবের সিনেমা। যে কোন বিশেষ উৎসবদের দিন মানেই সিনেমা হলে শাকিবের সিনেমা! হলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে একের পর এক চলচ্চিত্রে কাজ করে যাওয়াটাকে নিজের দায়িত্ব বলেই মনে করে আসছেন শাকিব। কখনও তাই তিনি ঢালিউডের কিং খান, কারও মতে তিনিই দেশের নাম্বার ওয়ান।
শাকিবের বিরুদ্ধে গল্প না পড়ে সিনেমা করার অভিযোগ থাকতে পারে, একই রকম চলচ্চিত্রে একঘেঁয়ে অভিনয় নিয়ে তাঁকে অনেকে দোষারোপ করতে পারেন। কিন্তু, স্বীকার করতেই হবে, এই শাকিবই ঢালিউড থেকে নিজের জনপ্রিয়তাকে নিয়ে গেছেন পশ্চিম বাংলায়ও। একই রকম ব্যস্ততা নিয়ে সমান তালে অভিনয় করে যাচ্ছেন দুই বাংলায়। ঢাকার মতো কলকাতাতেও দারুণ জনপ্রিয় শাকিব।
বাংলা সিনেমার সবচেয়ে দুর্দিনেই হাল ধরেছিলেন শাকিব খান। একক রাজত্বে বেশ পারদর্শিতার সাথেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সাম্রাজ্য। তাই বলাই যায়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য শাকিব খান আসলেই একটা ‘ফ্যাক্ট’ বটে!