গুসি শান্তি পদকে ভূষিত কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজকে সংবর্ধনা জানিয়েছে ফিলিপিন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস। অকৃত্রিম শ্রদ্ধায় তাকে বরণ করে নেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। প্রবাসীদের ভালোবাসায় আপ্লুত শাইখ সিরাজের আহ্বান ছিলো যার যার অবস্থান থেকে দেশের উন্নতিতে দরদী ভূমিকা পালনের।
দেশে একুশে পদক আর জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা এফএও’র বুর্মা পদকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক পুরস্কার, স্বীকৃতি ও সম্মানে ভূষিত উন্নয়ন সাংবাদিক শাইখ সিরাজ।
বুধবার ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় পেলেন আরো একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। দেশটির জাতীয় বীর জাভিয়ের গুসির নামে প্রতিষ্ঠিত গুসি ফাউন্ডেশন গুসি শান্তি পদকে ভূষিত করেছে তাকে।
দু’দিন পর শাইখ সিরাজের স্বীকৃতি উদযাপন আয়োজন করে ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রবাসীদের উপস্থিতিতে আয়োজনকে রঙিন করে তোলেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
দেশের বাইরে বাংলাদেশের এই অর্জনের গৌরবে আবেগতাড়িত ছিলেন অনেকেই। তারা জানান, আমাদের শিকড়ে রয়েছে গ্রাম মাটি আর কৃষির অস্তিত্ব। অনেকে জানান, মাটি ও মানুষ আর হৃদয়ে মাটি ও মানুষের ভালো লাগার কথা। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন রাষ্ট্রদূত।
ফিলিপিন্স রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীকে শাইখ সিরাজ নতুন একটা মডেল উপহার দিয়ে যাচ্ছে যার নাম শাইখ সিরাজ ডেভেল্পমেন্ট মডেল।
এরকম স্বীকৃতিতে আরো এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
কৃষি উন্নয়নে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, যে পেশাতেই যান না কেন কেউ যেনো কৃষি আর মাটিকে না ভুলে।
দূতাবাস ছাড়াও ম্যানিলায় প্রবাসী বাংলাদেশী পোশাক ব্যবসায়ীরাও গুসি পদকের সম্মানে সম্মানিত শাইখ সিরাজকে সংবর্ধনা জানান।এডিবি, আইওএম এবং বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশীরাও আয়োজন করেন আরেকটি সংবর্ধনার।