বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানী মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাদের পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবরা শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্র প্রধানের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালেহ উদ্দিন ইসলাম তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকালে এ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী সকাল ৭টা ৫ মিনিটে দেশের মহান বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
৫০ বছর আগে এই দিনে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দু’দিন আগে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসর আল-বদর, রাজাকার ও আল-শামসের গোপন কুপরামর্শে নতুনভাবে উদিয়মান বাংলাদেশের মেধাশক্তি ধ্বংস করে ফেলার লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী ও লেখকসহ এ দেশের মাটির প্রায় ২০০ কৃতী সন্তানকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় এবং তাদের ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জিম্মি রাখে।
তাদেরকে চোখ বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মাদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ ও নগরীর বিভিন্ন অংশের অন্য স্থানগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীকালে, বিভিন্ন হত্যা কেন্দ্রে তাদের সকলকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। তাঁদের অধিকাংশকেই রায়েরবাজার ও মিরপুরে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর খুনিদের ক্রোধের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ডা. আলিম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বি, সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার, সিরাজুদ্দিন হোসেন, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান ও সেলিনা পারভিন এবং সাহিত্যিক মুনীর চৌধুরী রয়েছেন।
তখন থেকে এই দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এবারেও সীমিত পরিসরে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে।