চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শহীদমাতা সালেমা বেগমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ লে. সেলিম ও ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা. এম এ হাসানের মা সালেমা বেগমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল রোববার।

এ উপলক্ষে আগামী ১৯ জানুয়ারি রোববার ডা. এম এ হাসানের উত্তরার বাড়িতে দোয়া মাহফিলের  আয়োজন করা হয়েছে।

বিপ্লবী যুগে বেড়ে ওঠা, স্বদেশী আন্দোলনের কর্মী সালেমা বেগমের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ নভেম্বর। ২০১৮ সনের ১৯ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বাবা ব্রিটিশ সরকারের একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন।

১৯৪২ সালের কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা: এম. এ শিকদারের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দেশের নানা আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা এই নারী তার সুযোগ্য দুই সন্তান লে: সেলিম ও ডা: এম. এ হাসানকে একেবারে স্বাধীনতার ঊষালগ্নে (২৫ মার্চ ১৯৭১) মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত করে পুরো পরিবার নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন।

শহীদমাতা সালেমা বেগম দক্ষিণাঞ্চলের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান ছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে তিনি তার পরিবারসহ সকল নিকটজনকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সম্পৃক্ত করেন।

অসাধারণ শিক্ষিত এবং আলোকিত এক পরিবারে মানুষ হওয়া এই নারী সতের শতকে বাংলায় আগত এলাহাবাদ ও উত্তর ভারতের এক বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামী শিক্ষাবিদের উত্তরসূরী।

পারিবারিকভাবে বামধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এই মানুষটি আজীবন সাম্য ও সাধারণের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তার ভগ্নি রোকেয়া বেগম ডঃ জিসি দেবের পালিতা কন্যা ছিলেন।

দক্ষিণাঞ্চলের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রধান এই মানুষটির প্রেরণা ছিলেন তার স্বামী ডা: এম.এ শিকদার যিনি কিনা চিকিৎসা জগতের এক উজ্জলতম নক্ষত্র ছিলেন। রাঁচি মেন্টাল হাসপাতাল এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ আলোকিত করা এক চিকিৎসক পরিবারের সন্তান ছিলেন ডা: শিকদার।

তার পরিবার এই ক্ষণজন্ম মানুষটিকে স্মরণে রাখবার জন্য, তার আত্মার মুক্তির জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা করছেন। এই পরিবার শিক্ষা দিক্ষা জ্ঞানের চর্চা এবং মহতী কাজে অবদান রেখে সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন।