মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে জাতি যেসকল সূর্যসন্তানদের হারিয়েছে, স্বাধীনতার ৪৬ বছরে এসে তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে বাংলাদেশ। যথাযথ ভাবগার্ম্ভীযের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী-সাহিত্যিকদের পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামীর যে স্থানীয় দালালেরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল; সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জাতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। শহীদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর পথ নির্দেশনা ‘বাংলাদেশ’ সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গতি বাড়িয়েছে নি:সন্দেহে। বুদ্ধিজীবী দিবস এলেই রঙ লাগে শহীদ স্মৃতিসৌধগুলিতে, নানা অনুষ্ঠান আর ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমরা স্মরণ করি। বছরের অন্যদিনগুলোতে এভাবে হয়তো তাদের স্মরণ করা হয় না, কিন্তু তাদের চেতনা ও আদর্শের প্রতি যদি দেশের জনগণের শ্রদ্ধা সারাবছর থাকে তাহলে তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে আমরা মনে করি। তবে স্বীকার করতেই হবে, যে চেতনা আর লক্ষ্য নিয়ে দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশ; প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তদের সৃষ্ট দুর্যোগে দেশ হোঁচট খেয়েছে বার বার। তারপরও সেসব পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সূচকে। দেশে বর্তমানে প্রতিটি শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী-সাহিত্যিক দেশের উন্নয়ন ও বিকাশে জনগণের কল্যাণে আরও কার্যকর, দরদী ও দেশপ্রেমিক হয়ে উঠুক এই আমাদের প্রত্যাশা।