আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার তদন্ত কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
এর আগে বিলুপ্ত হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ রুলসহ এ আদেশ দিলেন।
এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। এবং অভিযোগে বলা হয়: শহিদুল আলম ঢাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে উসকানি দিয়েছিলেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়: শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার করেছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। তিনি সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন।
সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শহিদুল আলমকে এ মামলায় জামিন দেন।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান এ আলোকচিত্রী।