আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমের দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এছাড়াও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অবিলম্বে কার্যকর তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ওমর ওয়ারাইচ বলেন, শহিদুল আলমকে দ্রুত ও নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে। শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মতামত দেওয়ার জন্য কাউকে আটক করা সমর্থনযোগ্য নয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ ও সরকারপন্থীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার আটক হওয়ার ঘটনাকে সরকারের দমননীতি জোরালো হওয়ার ভয়াবহ নজির বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওমর ওয়ারাইচ আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অবিলম্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের পক্ষে কথা বলা মানুষদের ওপর চালানো দমনপীড়ন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, এর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি বলপ্রয়োগের ঘটনায় অবিলম্বে কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিক্ষোভ কমূসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলা আর পুলিশি নীরবতারও তদন্ত দাবি করেছে অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষ দিকেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা থেকেই সরকারের এই সব সংকট সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আল-জাজিরা ইংলিশে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর ৫ আগস্ট সাদাপোশাকের পুলিশ শহিদুল আলমকে আটক করে।
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গত সপ্তাহ থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও শুক্রবার থেকে হামলার শিকার হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।