তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ৬ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এরপর গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট শহিদুলের জামিন আবেদন শুনানির তারিখ এগোনোর আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। একই আদালতে গত ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি।
এরপর গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে শহিদুল আলমজামিন আবেদন করলে বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন।
এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যায় এবং তিনি নতুন বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠান।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ জামিন আবেদনটি বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির আসে। হাইকোর্ট বেঞ্চ শহিদুল আলমের জামিন আবেদন আগামীকালের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে আদেশ দেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উস্কানিমূলক ও মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এই মামলা করা হয়।