শরীয়তপুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টমেটো-বেগুনের চারা উৎপাদন এবার কম হচ্ছে। জেলার সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদনকারী এলাকা জাজিরায় ব্যাপক টমেটো ও বেগুন আবাদের কথা মাথায় রেখে তিনপত্তন চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে। সেখান থেকেই আশেপাশের এলাকায় সরবরাহ করা হয় টমেটো ও বেগুনের চারা।
তবে এবার টানা বৃষ্টিতে মাত্র একপত্তন চারা উৎপাদন করা সম্ভব করা হয়েছে। কয়েকজন কৃষক জানান, কালো বেগুন, টমেটো চারার জন্যে এক থলে একবার-দুইবার এমনকি তিনবারও বীজ ফালাই এবং বছরে ৮-১০ লাখ টাকা বিক্রি করি। কিন্তু এই বছল বৃষ্টির কারণে চারা উৎপাদন ও বিক্রিতে মন্দা।
কৃষি বিভাগ জানায়, কৃষকরা যাতে লোকসানে না পড়েন সে জন্য নানা কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শের মাধ্যমে টমেটো ও বেগুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখা হবে।
জাজিরা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, কৃষকরা যে টমেটো, বেগুনের চারা উৎপাদন করে থাকে তাতে আমরা কৃষি বিভাগ তাতে পরামর্শ দিয়ে থাকি। প্রতিবছর দুই থেকে তিনবার চারা উৎপাদন করলেও বৃষ্টির কারণে এই বছর একবার চারা উৎপাদন করা হয়েছে।
টমেটো ও বেগুনের চারা উৎপাদন করতে বিঘা প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি হয় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় সেই আয় থেকে এ বছর বঞ্চিত হয়েছেন কৃষক।