শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় এবার বিঘাপ্রতি আলুর ফলন ৩০ থেকে ৩২ মণ বেশি পেয়েছেন কৃষক। কৃষক জানিয়েছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো উন্নত জাতের বীজ বপন করতে পারায় ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
অধিক ফলনশীল ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলুর আবাদ করে এবার ফলন পাওয়া গেছে সাধারণ জাতের চেয়ে ৩০-৩২ মণ বেশি। সেইসাথে ভালো বাজার মূল্য পেয়ে খুশী শরীয়তপুরের কৃষক।
কৃষকরা বলছেন লাল আলু, ডায়মন্ড আর কার্ডিনাল জাতের আলু চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন অঞ্চলে যদি সংরক্ষণাগার থাকত তাহলে তারা আরও ভালো আলুর দাম পেত।
চলতি মৌসুমে জেলায় এক হাজার আটশ’ ৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে দু’হাজার নয়শ’ হেক্টরে।
শরীয়তপুরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে ছিল, কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক কৃষকেদের পাশে ছিল সে কারণেই বিঘা প্রতি আলুর ফলন ৩০ থেকে ৩২ মণ বেশি হয়েছে।
জেলায় কোনো সংরক্ষণাগার না থাকায় অনেক সময় কম দামে আলু বিক্রি করতে হয় কৃষককে। অচিরেই একটি সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন কৃষক।