রাজশাহীর শাহ মখদুম থানা থেকে বের হয়ে কলেজছাত্রী লিজা রহমান শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহননের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহত কলেজছাত্রীর পিতা মোহাম্মদ আলম বাদী হয়ে স্বামী সাখাওয়াত হোসেন, শ্বশুর খোকন আলী ও শাশুড়িকে আসামী করে বুধবার দিবাগত রাতে মহানগরীর শাহ মুখদুম থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত আসামীরা।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে নগরীর শাহ্ মখদুম থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যাবার পরামর্শ দেন ওসি মাসুদ পারভেজ। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে থানার ১০০ গজ দূরে মহিলা কারিগরি কলেজের গেটের সামনে নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন লিজা। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
গত ২০ জানুয়ারি লিজার সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার খানদুরা গ্রামের খোকন আলীর ছেলে ও রাজশাহী সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সাখাওয়াত হোসেনের বিয়ে হয়। পরিবারকে না জানিয়েই সাখাওয়াত লিজার গোবিন্দগঞ্জের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করেন। সাখাওয়াতও রাজশাহীতে একটি ছাত্রাবাসে থাকেন।
বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ শুরু হয়। পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় সাখাওয়াত লিজাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেননি।