ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন শরিফউল্লাহ। বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়ে উতরে যান এই অফস্পিনার। বছর না ঘুরতেই আবারও প্রশ্নবিদ্ধ শরিফউল্লাহর বোলিং অ্যাকশন। এবারের অভিযোগ আরও গুরুতর। বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলা স্পিনারের বেশিরভাগ ডেলিভারিই সন্দেহের চোখে দেখছেন আম্পায়াররা। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্যই।
বিপিএলের চলতি আসরে আল-আমিন হোসেনের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে সন্দেহের তালিকায় নাম উঠল শরিফউল্লাহর। পেসার আল-আমিন কেবল একটি ডেলিভারির জন্য সন্দেহের তালিকায় পড়েছেন।
টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১২ ম্যাচ খেলা শরিফউল্লাহ সেরা বোলিংটা করেছিলেন রোববার চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে। ২৩ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ওই ম্যাচে তার বেশিরভাগ ডেলিভারিই সন্দেহজনক মনে হওয়ায় মাঠের দুই আম্পায়ার, টিভি আম্পায়ার ও চতুর্থ আম্পায়ার ম্যাচ শেষে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ দেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কাছে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে রিভিউ কমিটির কাছে রিপোর্ট করতে হবে এই স্পিনারকে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার আল-আমিন আন্তর্জাতিক ম্যাচেও সন্দেহের তালিকায় পড়েছিলেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল তার বোলিং অ্যাকশন। ওই বছরের নভেম্বরে চেন্নাইয়ের শ্রী রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে শুধরে ফেরেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রামে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে দলীয় ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিফুল হকের উইকেট পান টাইগার পেসার। ওই বলটিই সন্দেহজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে ফিল্ড আম্পায়ারদের রিপোর্টে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা পেসার আল-আমিন সোমবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এর আগে ২০১৪ সালে একবার এমন হয়েছিল। আমি বোলিং পরীক্ষা দিয়েছিলাম। কিছুই হয়নি। অ্যাকশনটা ঠিক ছিল তাই শোধরানোর প্রয়োজন হয়নি। তাই এখন আমি সেভাবেই বোলিং করছি। এবার যদি কোন ত্রুটি পায় তাহলে শোধরাতে হবে। তা না হলে ভাল হলেই সব ভাল।’