ইসলামিক স্টেট(আইএস) এর জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে বা বিভিন্ন দেশে প্রবেশের জন্য হাজার হাজার শরণারর্থীদের ভিতর লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সতর্ক করলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। এই সতর্কের মাধ্যমে সীমান্তে আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যম দ্য সানডে টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের সীমান্ত খোলা থাকার সুবিধা নিয়ে আইএস জঙ্গিদের শরণার্থীদের মধ্যে লুকিয়ে থাকার একটি বড় শঙ্কা রয়েছে। তবে, ফ্রান্সের ওপর হওয়া এই হামলার জন্য সম্প্রতি দেশটিতে আসা শরণার্থীদের আমরা দায়ী করতে পারিনা। এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছালে অবশ্যই তা অনেক বড় ভুল হবে বলে জানান টনি অ্যাবট।
তিনি আরো বলেন, এটি পানির মতো পরিস্কার যে, আইএস জঙ্গিরা এখানে তৎপর হয়ে উঠেছে।
টনি অ্যাবট মনে করেন, খুব শীঘ্রই এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবেনা। অন্তত যতোদিন আইএস’র অস্তিত্ব থাকবে এবং সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ওই জঙ্গিদের সহযোগিরা ইন্ধন জোগাবে, ততোদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন হামলা-আক্রমণ চলতে থাকবে।
সব থেকে বড় সমস্যা হলো আইএস জঙ্গিরা পাশ্চাত্য সভ্যতা ও নাগরিকদের নাস্তিক মনে করে ও আমাদের ধ্বংস করার জন্য বদ্ধপরিকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টনি অ্যাবটের মতে, আইএস জঙ্গিদের দমনের জন্য পশ্চিমের সরকারদের দেশে ও বিদেশে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। যেভাবে আমি সরকার থাকা অবস্থায় নিয়েছিলাম। এবং আশা করছি নতুন প্রধানমন্ত্রীও একইভাবে আইএস জঙ্গিদের দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। তার মতে, সিরিয়ার সঙ্কটের একমাত্র রাজনৈতিক সমাধানই সম্ভব।