শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্কুল শিক্ষার্থীদের শব্দ সচেতনতা প্রশিক্ষণ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
শব্দ দূষণের কারণে মাথা ধরা, শ্রবণ শক্তি হ্রাস, মেজাজ খিটখিটে হওয়া এবং অনিদ্রাসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শিশু এবং বৃদ্ধদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শব্দ সচেতনতা কর্মসূচি শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। তুলে ধরা হয় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কিভাবে কাজ করবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কর্মসূচীর পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, তোমরা তোমাদের অবিভাবকদের অনুরোধ করবা যেন তারা ড্রাইভারদেরকে বলে যেন অকারণে হর্ন না বাজায়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো: আলমগীর বলেন, এর শারীরিক ইমপ্যাক্ট আছে, মানসিক ইমপ্যাক্ট আছে। আমাদের কান আস্তে আস্তে বধির হয়ে যাবে, বিরক্ত হবো এবং আমাদের দক্ষতা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হলে পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইছউল আলম মণ্ডল বলেন, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণের মতো শব্দ দূষণও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রি.জে. আব্দুল হান্নান বলেন, সচেতনতা বাড়ানোর জন্য যে কৌশল সেটা যেন আমাদের সন্তানদের শেখানোর কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
শব্দ দূষণ কমানো এবং এ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীদের শপথ করানো হয়।