শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে শব্দদূষণ সম্পর্কে জনসচেতনতা কার্যক্রমের প্রাথমিক পরামর্শসভায় বক্তারা বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
শব্দ যখন মাত্রা অতিক্রম হলে শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়। গাড়ির হর্ন, মাইকের আওয়াজ, নির্মাণ কাজ, জেনারেটর, কলকারখানা, রেল অথবা বিমানের আওয়াজ এ সবই শব্দদূষণের উৎস।
শব্দের মাত্রা অসহনীয় হলে তা মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শব্দদূষণের কারণে মাথা ধরা, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া এবং অনিদ্রাসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশু, বয়স্ক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
এ সকল ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো এবং শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচি নিয়েছে। এ নিয়ে হলো প্রারম্ভিক পরামর্শ সভা।
সভায় বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ডা: প্রাণগোপাল দত্ত বলেন, যে শুনে না তার জন্য শব্দদূষণ কোনো ব্যাপার না। তবে আমরা যারা শুনি আমাদের শব্দদূষণ বিশাল ব্যাপার। তাই শব্দদূষণকে প্রতিহত করা একান্ত দরকার।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অনেকেই বুঝিনা এই ধরনের আওয়াজ হলে কি ক্ষতিটা হয়। শব্দদূষণের মাধ্যমে যে আমাদের শ্রবণশক্তি যে লোপ পাচ্ছে সেটাও আমরা উপলদ্ধি করি না। সেসময় পরিবেশ রক্ষায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় সেমিনার ও কনফারেন্স মিটিং করে শব্দদূষণ থেকে নগরবাসীকে জনসচেতনতা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে সভায় জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মসূচি পরিচালক ফরিদ আহমেদ।
সভায় উপস্থিত থেকে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, শব্দদূষণ বড়দের সঙ্গে ছোটদের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। সেই শব্দ দূষণের ব্যাপারটি তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন সভা ও সেমিনার করে নগরবাসীদের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।