ভারতের কেরালায় দেশটির সংবিধান দিবসে কয়েকজন নারী জোর করে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ কমিশনার অফিসের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিন্দু আম্মিনী নামের এক নারী কর্মীকে উগ্রপন্থী এক ব্যক্তি মরিচের স্প্রে ছুড়ে হামলা করেছে।
এনডিটিবির ধারণকৃত এক মোবাইল ফোনের ভিডিও বার্তায় দেখা যায়, বিন্দু আম্মিনী নামের কর্মীকে রাস্তায় হাঁটার সময় হঠাৎ মরিচের স্প্রে ছোড়ে এক ব্যক্তি। সেসময় ওই নারীর মুখ কিছুটা ঝলসে যায় এবং আক্রমনকারীকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
ওই নারীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পর পুলিশ তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মিসেস দেশাইসহ আর ৫ জন নারী সিটি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে রয়েছেন। আজ মন্দিরে এসে রেকি করার চেষ্টা করলে ডানপন্থী একজন ব্যক্তি আম্মিনীর ওপর মরিচের স্প্রে ছোড়ে।
মিসেস দেশাই কেরালা সরকারকে বলছেন, আমাদের আজ সংবিধান দিবস। আমরা আজ শবরীমালা মন্দির পরিদর্শন করার জন্যে এসেছি। রাজ্য সরকার বা পুলিশ কেউই আমাদেরকে মন্দির পরিদর্শন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। আমরা সুরক্ষা পাই বা না পাই আজ আমরা মন্দিরটি দেখে যাব।
এর আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালে এক ঐতিহাসিক রায় অনুসারে সব বয়সের নারীদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলো। কেরালা সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা নারীদেরকে মন্দিরের আশেপাশে হাঁটার সময় নারীদেরকে সুরক্ষা দেবে।
সে রায়ের আদেশ পরবর্তীকালে পর্যালোচনা করার জন্য বিষয়টি সাত বিচারকের উচ্চতর বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেসময় রায় স্থগিত না করার কারণে তারা সব ধরণের নারীদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলো। যার ফলে আজকের এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
কেরালার মন্ত্রী কাদাকম্পালি সুরেন্দ্রন বলছেন, তৃপ্তি দেশাই মন্দিরে প্রবেশ করে ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে। অথচ এটি ক্ষমতা দেখানোর জায়গা নয়। তবে তাদেরকে আদালতের আদেশ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
এসময় দেশাই বলেন, আমরা নিবিড়ভাবে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছি। কিছু লোক আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করতে পারে। সেজন্য তারা আমার গাড়ির নাম্বারটি নোট করে রেখেছে।