জরুরি পরিস্থিতি না হলে শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে মুখোমুখি করবে না গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের দু’জনকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মুখপাত্র মো. মনিরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ‘হত্যা ষড়যন্ত্র মামলা’য় গ্রেফতার হয়ে ৭ দিনের পর এখন ৫ দিনের জন্যদ্বিতীয় দফা রিমান্ডে আছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন
একই মামালায় আরেক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখাতে এবং ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে ডিবি। সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, শফিক রেহমানই তাদের কাছে মাহমুদুর রহমানের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন। তবে, সংবাদ সম্মেলন করে এরকম অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন মাহমুদুর রহমানের মা মাহমুদা বেগম।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, সজীব ওয়াজেদ জয় ‘হত্যা ষড়যন্ত্র মামলা’য় গ্রেফতার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান ষড়যন্ত্রে জড়িত আরও তিনজনের নাম পরিচয় বলেছেন। বিদেশে জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্যে শফিক রেহমানের নামে এফবিআই এজেন্টকে ৩০ হাজার ডলার পরিশোধের স্বীকারোক্তি পাওয়ার দাবিও করেছেন তারা।
দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে থাকা শফিক রেহমানের বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র মো. মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শফিক রেহমান আরো তিনজনের নাম পরিচয় ফাঁস করেছেন
তবে শফিক রেহমানের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, রিমান্ডে কথিত স্বীকারোক্তির কোনো আইনি মূল্য নেই। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যা বলবেন আইন সেটাই গ্রহণ করবে। ‘আর রিমান্ডে তিনি আসলে কী বলেছেন সেটা যেমন আমরা জানি না তেমনি কোন প্রেক্ষাপটে কী বলানো হচ্ছে সেটাও আমাদের জানা নেই।’