শনিবার সন্ধ্যায় একাদশতম রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটবে। প্রথম বাক্যে চমকে ওঠার বিস্তর অবকাশ থাকলেও শুরুতেই সংশয় অবসান ঘটানো উচিত। এ হত্যাকান্ড ঘটবে নাট্যমঞ্চে। শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ হলে।
রাজনীতি সচেতন দেশের সবচেয়ে পুরাতন সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর নাটক বিভাগের নাটক ‘রাজনৈতিক হত্যা’ একাদশতম প্রদর্শনী হবে ২ জুন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে নির্মিত এ নাটকটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত ফরাসী দার্শনিক জাঁ পল সার্ত্রে। কলকাতার অর্পিতা ঘোষ-এর অনুবাদ করা নাটকের নির্দেশক রতন দেব।
নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে মধ্য ইউরোপের একটি কাল্পনিক দেশ ইলিথিয়াকে কেন্দ্র করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ইলিথিয়ার ক্ষমতায় থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে সে দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং কমিউনিস্ট পার্টির নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিয়ে গল্পের প্রেক্ষাপট সাজানো হয়েছে। চিত্রিত হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরের নানা সংকটও।
যেখানে ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে অান্তঃকোন্দলের মধ্যেই পার্টির অন্যতম প্রধান নেতাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় পার্টির অপর অংশ। যাকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তিনি তা করতে গিয়ে উল্টো ওই নেতার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডটি সম্পন্ন করতে পারলেও তার পেছনে রাজনৈতিক ছাড়া ব্যক্তিগত কারণও জড়িয়ে যায়।
হত্যার দায়ে দুই বছর কারা ভোগ শেষে বেরিয়ে এসে পার্টির ওই তরুণ কর্মী উপলব্ধি করেন, পার্টি হত্যার শিকার সেই নেতার পথ ধরে এগিয়ে চলেছে।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রচার সম্পাদক কংকন নাগ বলেন, এ নাটকের গল্পের সঙ্গে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির যেমন মিল খুঁজে পাওয়া যাবে, তেমনি রাজনীতির নানা জটিলতা আর পঙ্কিলতার সঙ্গেও পরিচিত হবেন দর্শকেরা।
২০১ সালের আগস্টে ঢাকার মঞ্চে প্রথম আসে নাটকটি। কয়েকটি প্রদর্শনী হওয়ার পর। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল নাটকটি। চলতি বছরের এপ্রিলে নাটকটির দশম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।